
24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : গত ১৪ মার্চ থেকে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেন। শনিবার আন্দোলনের ৬০ দিন ছিল, আন্দোলনকারীদের দাবি মেনেই এদিন শনিবার উপাচার্যের পদ থেকে সাধনকে সরিয়ে দিলেন আচার্য। সাধনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় অংশের পড়ুয়া, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উপাচার্যকে তাঁর পদ থেকে অপসারিত করলেন। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ চলে আসছিলো অনেক দিন ধরেই। এইবার তাঁকে বিশ্ববিদ্যালেয়র রেজিস্ট্রারের তরফে ই-মেল মারফত নোটিশ দিয়ে উপাচার্যের পদ থেকে সরানো হল তাঁকে। আন্দোলন চলাকালীন অচলাবস্থা কাটাতে বেশ কয়েক বার উদ্যোগী হন সাধন। আন্দোলকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও সমাধানসূত্র মিলছিল না। তাঁরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতেই অনড় ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিলেন তিনি। এর জন্য হাইকোর্টেও গেছিলেন তিনি, কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা অনিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে অনেককে কোনও দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণ কাজের জন্য অনেক গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। উপাচার্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় হাইকোর্ট প্রশাসনিক ভবনের ৫০ মিটারের বাইরে পদ্ধতি মেনে আন্দোলন করার নির্দেশ দেয়। সেই মতোই আন্দোলনকারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ৬০ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, শনিবার কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সহ আন্দোলনকারীদের কথোপকথনের জন্য ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। তবে উপাচার্য আসেননি। এদিন আন্দোলনকারীদের মুখ থেকে অভিযোগ সব শুনে উপাচার্যকে অপরসারণের সিদ্ধান্ত নেন আচার্য। বিশ্ববিদ্যালেয়র রেজিস্ট্রারের তরফে ই-মেল মারফত সাধনকে এই বিষয়ে জানানো হয়। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তে কার্যত খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীরা।