
ওয়েব ডেস্ক, 24 Hrs Tv : যদি অনিয়ন্ত্রিতভাবে আপনার হাই প্রেসার নিয়মিত থাকে, তবে এটি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে হাই প্রেসার কমানোর উপায় কি ? আপনার রক্তচাপকে স্বাভাবিকভাবে কমিয়ে আনার জন্য অনেকগুলি প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। এমনকি আপনি চাইলেই ওষুধ ছাড়াই হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, সেই আটটি ঘরোয়া সমাধান। যার দ্বারাই আপনি পারবেন আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে আনতে।
১) নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট ব্যায়াম করার জরুরি রক্তচাপ কমাতে। ব্যায়াম করার সময় হৃদপিণ্ড শক্ত হয়ে যার জেরে পাম্প করতে চাপ অনেক কম লাগে। এটির ফলে আটারি প্রেসার কমিয়ে রক্তচাপ কমায়।
২) ধূমপান: উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার জন্য ধূমপান একটি মূল কারণ। রক্তচাপ কমানোর জন্য ধূমপান ত্যাগ অত্যন্ত জরুরি।তামাকের মধ্যে থাকা রাসায়নিক পদার্থ রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে রক্তনালির দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৩) বাড়তি ওজন ঝড়ানো: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে অবশ্যই বাড়তি ওজন কমাতে হবে। অতিরিক্ত ওজন হৃদপিন্ডের উপর চাপ ফেলে, যার জন্য রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।
৪) বেশি পরিমাণে পটাসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহন: পটাসিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। এটি আপনার শরীরকে সোডিয়াম থেকে মুক্তি পেতে এবং আপনার রক্তনালীগুলির উপর চাপ কমাতে সহায়তা করে। আধুনিক ডায়েটগুলি পটাসিয়াম গ্রহণ এবং হ্রাস করার সময় বেশিরভাগ মানুষের সোডিয়াম গ্রহণঙ্গেএর পরিমান বাড়িয়েছে।
আপনার ডায়েটে পটাসিয়ামের সোডিয়ামের আরও ভাল ভারসাম্য পেতে, কম প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং আরও টাটকা, পুরো খাবার খাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করুন ।
৫) ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান : লো ক্যালসিয়াম গ্রহণের লোকদের প্রায়শই উচ্চ রক্তচাপ থাকে। ক্যালসিয়াম পরিপূরকগুলি রক্তচাপ কমানোর জন্য নির্ধারিতভাবে দেখা যায় নি, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ডায়েটগুলি স্বাস্থ্যকর স্তরের সাথে যুক্ত বলে মনে করা হয়।
বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ক্যালসিয়ামের সুপারিশটি প্রতিদিন ১০০০ মিলিগ্রাম। ৫০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের এবং ৭০ এর বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এটি প্রতিদিন ১২০০ মিলিগ্রাম।
দুগ্ধ এবং অন্যান্য শাক, শিম থেকে ক্যালসিয়াম পেতে পারেন। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ডায়েটগুলি স্বাস্থ্যকর রক্তচাপের স্তরের সাথে যুক্ত। আপনি পাতলা শাক পাশাপাশি দুগ্ধ খাওয়ার মাধ্যমে ক্যালসিয়াম পেতে পারেন।
৬) নিয়মিত রসুন খান : উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রসুন খুবই কার্যকরি একটি খাবার। প্রতিদিন সকালে দুই কোষ রসুন আপনার হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে।
৭) সোডিয়াম গ্রহণ কমিয়ে দিন : অনেকের অভ্যাস থাকে ভাত বা বিভিন্ন খাবারের সাথে কাঁচা লবণ খাওয়া। বেশি লবণ খেলে রক্তের মধ্যে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে তর তরিয়ে বাড়ছে থাকে ব্লাড প্রেসার। তাই কাঁচা লবণ খাওয়া ছেড়ে দিলে হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৮) চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া ছেড়ে দিন : সম্পৃক্ত চর্বি জাতীয় খাবার যেমন-খাসির মাংস, মাখন, ঘি ইত্যাদি চর্বি জাতীয় জিনিস উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে এইসব চর্বিজাতীয় খাবার ছেড়ে দিন। এর পরিবর্তে সূর্যমুখী তেল, সয়াবিন তেল এগুলো খান।