
পরপর বিখ্যাত দুই মানুষের প্রয়াণের ঘটনায় শোকস্তব্দ নানান মহল। শনিবার সকালে ঘুমের কোলে ঢলে পড়েন প্রথিতযশা বাচিকশিল্পী পার্থ ঘোষ। আবার এদিন সকালেই আরও এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর সামনে আসে। কেজিএফ সিনেমার নায়ক মোহন জুনেজার প্রয়াণের ঘটনা। কেজিএফ চ্যাপ্টার-২ সিনেমায় পারদর্শিতা ও সমদক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন মোহন জুনেজা। এরকম এক অভিনেতা ও কমেডিয়ানের অকালপ্রয়াণে শোকস্তব্দ গোটা সিনেমামহল ও সিনেপ্রেমীর ভক্ত-অনুরাগীরা।
পারিবারিক সূত্রের খবর, প্রয়াত এই অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা চলছিলও, কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। জানা গেছে, লিভার জনিত-সহ নানান সমস্যাও ছিল কমেডিয়ান শিল্পীর।
প্রায় এক দশক ধরে কমেডিয়ান হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন মোহন। এছাড়াও তামিল, তেলুগু, মালয়লম ও হিন্দি সব ভাষা মিলিয়ে প্রায় ১০০-এর অধিক ছবিতে কাজ করেছেন। সম্প্রতি তিনি ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২’-এ অভিনয় করেছেন। ‘কেজিএফ’-এর প্রথম ছবিতেও ছিলেন তিনি। এছাড়া একাধিক ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁর অনুরাগীরা তাঁকে ‘চেল্লাটা’ ছবি দিয়ে মনে রাখে। দর্শন, উপেন্দ্র ও রাজকুমারের মতো খ্যাতনামা অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাঁকে।
মোহন জুনেজার মৃত্যুর ঘটনায় অভিনেতা গণেশ শোকব্যক্ত করেছেন। ট্যুইটারে কেজিএফ সিনেমার অভিনেতা মোহনের ছবি দিয়ে তাঁর পোস্ট ‘ওম শান্তি’। জানা গিয়েছে, এদিনই এই অভিনেতার দাহকাজ সম্পন্ন হবে। কর্ণাটকের তুরুভেকেরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মোহনের জন্মস্থান বেঙ্গালুরুতে। তাঁর বাবা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং তাই তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। মোটের ওপর পড়ালেখায় তাঁর খুব একটা আগ্রহ ছিল না। অর্থাৎ, অনাগ্রহই ছিল। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমার বাবা চেয়েছিলেন আমি তাঁর মতো একজন ইঞ্জিনিয়ার হই, কিন্তু আমি পড়াশোনায় খুব খারাপ ছিলাম।
স্বভাবতই সিনেমার মানুষ হয়ে সিনেমায় যে তাঁর ছোঁয়াচ, কদর থাকবেই। তা একেবারেই বলাই বাহুল্য। ‘তিনি সবসময় সিনেমার প্রতি বন্ধুবাৎসল্য ও আগ্রহী ছিলেন, এবং অবশ্যই দিনে তিনটি ছবি দেখতেন। পরে, তিনি শিল্প ও থিয়েটার বোঝার জন্য নাটকের স্কুলে আসেন। শঙ্কর নাগের ‘ওয়াল পোস্টার’ দিয়ে তাঁর অভিনয়ে অভিষেকও ঘটে।