‘জয় শ্রীরাম’ থামাতে পাল্টা ‘কবিগুরু লহ প্রণাম’,মঞ্চ থেকে তৃণমূলের কটাক্ষ

Read Time:2 Minute

24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : এর পূর্বে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারি অনুষ্ঠানে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি বক্তৃতা করার আগেই দর্শকাসন থেকে ওঠে ‘জয় শ্রীরাম স্লোগান’। এতে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী এবং বক্তব্য না রেখেই চলে যান তিনি। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছিলো রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করেছিলেন, বিজেপি কর্মীদের দোলের স্লোগানের জন্য অনুষ্ঠানের গরিমা নষ্ট হয়েছিল। বাংলার সংস্কৃতি কলঙ্কিত হয়েছিলো বলে মনে করেছিলেন তাঁরা। ঠিক তেমনই বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁদের সামনেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠে। এমনকি, বাংলায় প্রথম বন্দে ভারত ট্রেনের সূচনার দিনও একই কাণ্ড ঘটে। আবারও একই জিনিস পুনরাবৃতি হল, রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এ বার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ছড়াল।

গোটা মঞ্চ জুড়ে ভেসে এলো জয় শ্রী রাম স্লোগান। যা থামাতে গিয়ে শঙ্কুকে মাইক ধরে পাল্টা ‘কবিগুরু লহ প্রণাম’ ধ্বনি তুলতে হল। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “এরা বাংলার সংস্কৃতি জানে না। রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি, নজরুলকে সম্মান করতে জানে না। এমন একটা সংস্কৃতির আমদানি করতে চাইছে যার সঙ্গে বাংলার কোনও সম্পর্ক নেই। শুধু বিয়ে আর ফুলশয্যার রাতে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বাকি রেখেছে।” শাহদের নিয়ে রবীন্দ্র-স্মরণ প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘ধর্মের নামে যে মোহ, তার বিরুদ্ধে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *