1
0
24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যের দাবি যে, বর্তমান সরকারের আমলে কমবেশি ৩৫ লক্ষ যুবক-যুবতীকে আইটিআই ও পলিটেকনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, কাজ পেয়েছেন তাঁদের অন্তত ৫০%। মমতার বক্তব্য, কর্মপ্রার্থী ও কর্মদাতার মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করতে হবে সরকারকে। চাইলে শিল্প মহল তাদের চাহিদা অনুযায়ী তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে। সহযোগিতা করবে সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরাসরি সরকারের কাছে কর্মী চাওয়া হোক। প্রশিক্ষিত কর্মী দেবে সরকার।’’ বৈঠকে পর্যটনে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের জন্য একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, এডিজি গোটা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব, ‘এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ’ বা কর্মসংস্থান কেন্দ্রে যাঁদের নাম এখনও নথিভুক্ত আছে, তাঁদের কারিগরি শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যুক্ত করা হোক। বড় এবং ছোট-ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প, তার সঙ্গে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়ানোর রূপরেখা তৈরি করতে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গড়ে দিয়েছেন মমতা। এই দুই শিল্প নিয়ে হবে ‘সিনার্জি’। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের প্রতি নজর দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শিল্পের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে, তবেই আর্থিকভাবে এগিয়ে থাকবে পশ্চিমবঙ্গ । তাই বাংলার মানুষের প্রতি আরও ঝোঁক বাড়াতে হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে ছোট এবং মাঝারি শিল্পও কর্মসংস্থানের পক্ষে সহায়ক। চাইলে শিল্প মহল তাদের চাহিদা অনুযায়ী তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে। এতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি, বাংলার ছেলেমেয়েরা কাজ পাবে। এতে বাংলার উন্নয়ন বেশ খানিকটা এগিয়ে যাবে। এমনটাই চিন্তাভাবনা করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
