
ওয়েবডেস্ক, 24 Hrs Tv: ঘড়ির কাটা রাত তখন ১১ টা। শনিবার এই সময়ে গাড়ি নিয়ে একাই বেরিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট-তারকা আন্ড্রু সায়মন্ডস। হার্ভে রেঞ্জ রোডের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় অ্যালিস রিভার ব্রিজের কাছে ঘুরতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাল্টি খায় সাইমন্ডসের গাড়ি। তখনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের তাবড় সদস্য। তাতেই বেঘোরে প্রাণ হারাতে হয় তাঁকে। মৃত্যুকালে প্রাক্তন অজি অলরাউন্ডারের বয়স হয়েছিল ৪৬ বছর। শেন ওয়ার্ন, রড মার্শের পর এবার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তাঁর।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটকে অভিনব উপহার দিয়ে গেছেন চলে যাওয়া এই ক্রিকেটার। বিশেষ করে, ওয়ান ডে ক্রিকেটে তাঁর অবদান ছিল জুড়ি মেলাভার। ২০০৩ ও ২০০৭ সালে এই দু বছরে বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য হন তিনি। ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। টেস্টে দু’টি শতরান-সহ ১৪৬২ রান করেছিলেন সাইমন্ডস। ১৯৯৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে চাপিয়ে সমগ্র ক্রিকেট দুনিয়াকে মাতিয়ে তুলেছিলেন।
পাশাপাশি এই অলরাউন্ডার নিজের সমস্ত প্রতিভা ক্রিকেট দুনিয়ায় মেলে ধরতে একটুও সময় নেননি। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ১২৫ বলে ১৪৩ রান করেছিলেন। বল হাতেও সমান পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন তিনি। অর্থাৎ, তিনি যে দুরন্ত ক্যারিশ্মা দেখিয়েছিলেন, তা বলাই যায়। পাশাপাশি দুরন্ত ফিল্ডারও ছিলেন। সাদা বলের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। তবে, দুঃখের খবর হলেও ক্রিকেট জগত মনে রাখবে আন্ড্রু সায়মন্ডসকে। ভয়ডরহীন ক্রিকেট আর ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এই অলরাউন্ডার বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন।
ক্রিকেট-তারকা সায়মন্ডসের মৃত্যুতে শোকে অন্ধকার নেমে এসছে ক্রিকেট মহাকাশে। শোকে মুহ্যমান হরভজন সিং, অনিল কুম্বলে, গিলক্রিষ্ট ও শোয়েবদের মতো বিখ্যাত ক্রিকেট তারকারা।



