
24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে এক ধাক্কায় শিক্ষক থেকে আপাতত পার্শ্বশিক্ষক হয়ে গিয়েছেন ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। নতুন করে ইন্টারভিউ পাশ করলে তাঁরা চাকরি ফিরে পাবেন। না-হলে চাকরি খোয়াতে হবে। আদালতের এমন রায়ের পর রাজ্যে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকেরা ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন তাঁরা। রাজ্যে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গাঙগুলি। শুক্রবার এই নজিরবিহীন নির্দেশ দিলেন তিনি। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় নিয়োগ পাওয়া ওই শিক্ষকদের আগামী চারমাসের মধ্যে চাকরি ছাড়তে হবে। নিয়োগ দুর্নীতিতে এত বিপুল পরিমাণ বাতিল আগে হয়নি। এইবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গাঙগুলি শুক্রবার এই নজিরবিহীন নির্দেশ দিলেন।
সেই রায়ের প্রতিবাদে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার আগে উন্নয়ন ভবনের সামনে জড়ো হয়েছিলেন হাজার খানেক শিক্ষক। পথে নেমেছেন সেই শিক্ষকরা। তাঁদের জানান যে, তাঁরা অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট দিয়ে নিয়মমাফিক চাকরি পেয়েছেন। এখন তাঁদের রুটিরুজি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। অনেকেই চাকরি পেয়ে সংসার পেতেছেন, ঋণ নিয়েছেন। পার্শ্বশিক্ষকের হারে বেতন পেলে সংসার চলবে না। শিলিগুড়িতেও এক দল শিক্ষক পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রায় হাজার জনের চাকরি গিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, সব নিয়ম মেনেই ইন্টারভিউ হয়েছিল। অন্য কোথাও গোলমাল হলে নির্দোষদের চাকরি নিয়ে টানাটানি হবে কেন? এ ব্যাপারে তাঁরাও আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ডিভিশন বেঞ্চে জাবেণ বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।এত দিন পরে বেনিয়মের কথা মনে পড়ল কেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন পর্ষদের অনেকে। যদিও চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, পর্ষদ তো তালিকাই বের করেনি। মামলার জেরে ইন্টারভিউয়ের নম্বর প্রকাশ করতেই পর্ষদের কারচুপি ধরা পড়ে গিয়েছে। “এখন ফেঁসে গিয়ে পর্ষদ কর্তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন,” এমনটাই বক্তব্য চাকরিপ্রার্থীরদের।