
ওয়েবডেস্ক, 24 Hrs Tv: ৩৭ বছর পিয়ারলেস গ্রুপের দায়িত্বের অধ্যায় শেষ করে প্রয়াত হলেন কলকাতার এক শিল্পপতি। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। পিয়ারলেস গ্রুপের এমডি ছিলেন এই শিল্পপতি। জানা গিয়েছে, শিল্পপতির নাম সুনীলকান্তি রায়। তিনি পিয়ারলেস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ছিলেন। আর্থিক, হোটেল, স্বাস্থ্য, বিমা, আবাসন-সহ অন্যান্য সমাজসেবামূলক কাজে তাঁর জুড়ি মেলাভার ছিল। এছাড়া, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ডিরেক্টর বোর্ডের সদস্য ছিলেন সুনীলকান্তি রায়। শিল্পপতির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুনীলকান্তির পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও দুই নাতি-নাতনি। পরিবার সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বয়সজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ওই শিল্পপতি। হাসপাতালেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত থেকেই, ধীরে ধীরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছিল। চিকিৎসকেরা দ্রুত তাঁকে ভেন্টিলেশনে নিয়ে যান শনিবারই। তবে চিকিৎসকদের চেষ্টা অসফল করে ঘুমের দেশে পাড়ি দেন।

বলে রাখা ভাল, এই বাঙালি শিল্পপতির পড়াশোনাও কলকাতাতেই। গোলপার্কের সিটি কলেজ থেকে পাশ করেছিলেন তিনি। তাঁর দাদা বি কে রায়ের প্রয়াণের পরে পিয়ারলেস গ্রুপের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন এই সুনীলকান্তি রায়। তারপরেই ৩৭ বছরের দায়িত্বে ইতি পড়ল। ২০০৯ সালে ‘পদ্মশ্রী’ পুরষ্কারপ্রাপক হয়েছিলেন সুনীলকান্তি রায়।
আর তাঁরই মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, সুনীলকান্তি রায়ের মৃত্যুতে শিল্প ও বাণিজ্য জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। সুনীলকান্তি রায়ের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি। এদিন, নিজের শোকবার্তায় শিল্পপতি সুনীলকান্তি রায়ের সামাজিক কর্মকাণ্ডের কথাও তুলে ধরেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
পাশাপাশি শিল্পপতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন কলকাতার মেয়র তথা আবাসনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি লেখেন ‘পদ্মশ্রী ও পিয়ারলেস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল কান্তি রায়ের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত সমগ্র শিল্পমহল। তাঁর অকালপ্রয়াণে বাংলায় ব্যবসার একটা যুগের পরিসমাপ্তি ঘটে গেল। তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ট বন্ধুদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি’।
