
ওয়েবডেস্ক, 24 Hrs Tv: প্রয়াত হলেন ‘আমি সিরাজের বেগম’। থুড়ি! প্রয়াত হয়েছেন ‘আমি সিরাজের বেগম’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রী পল্লবী দে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক ছিল টলিপাড়ার। কিন্তু সোমবার সেই সম্পর্কে ইতি পড়ল। মৃত্যু হয়েছে জনপ্রিয় এক টেলি অভিনেত্রীর। অর্থাৎ, বিষাদের খবর দিয়ে দিন শুরু হল টলিপাড়ার। সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার নিজের ফ্ল্যাটেই আত্মঘাতী হন বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে। খবর পেয়েই শোকে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে টালিগঞ্জের স্টুডিয়োপাড়ার কলাকুশলীরা। স্বভাবতই অভিনেত্রীর অকালপ্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলা সিনে জগতের বিখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। এদিন সকালে গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুরের ফ্ল্যাট থেকে জনপ্রিয় অভিনেত্রীর দেহ উদ্ধার হয়।
যদিও অভিনেত্রীর মৃত্যুতে পরিবারের দাবি, ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ দেখতে পাওয়া যায়। এই ঘটনায় গড়ফা থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুরে থাকতেন ‘আমি সিরাজের বেগম’, ‘মন মানে না’ মতো টেলি সিরিয়ালে অভিনীত বিখ্যাত অভিনেত্রী পল্লবী দে। শুধু তাই নয়, লুৎফা-র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পাশাপাশি তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গেছে ‘রেশম ঝাঁপি’ নামে বাংলা সিরিয়ালের এক ধারাবাহিকেও। সকাল হতেই পল্লবীর পরিবারের সদস্যরা দেখেন তাদের মেয়ের দেহ ঝুলছে। সময়টা তখন ৯.৩০ বাজে। সেইসময় বাড়িতেই ঝুলছিল জনপ্রিয় অভিনেত্রীর মৃতদেহ। সঙ্গে সঙ্গে দেহ উদ্ধার করে টালিগঞ্জের এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

কিন্তু কী কারণে তাঁর মৃত্যু বা তিনি কি নিজেই আত্মঘাতী হলেন? পুরো বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। ইতিমধ্যেই পল্লবী দে-র মৃত্যু ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে নানান ধোঁয়াশা। এদিকে, দেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর স্পষ্ট কারণ জানা যাবে।
পল্লবী দে-র আত্মহত্যার পর আরও বিষয় স্বচ্ছ হয়ে উঠছে যে, অভিনেত্রীর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এক যুবক। জানা যায়, ওই যুবকের নাম সাগ্নিক চক্রবর্তী।

বারেবারেই টেলিপর্দায় অভিনয় করা পল্লবী দে-র সুখ্যাতি ছড়িয়েছিল স্টুডিয়োপাড়ায়। আর তাঁরই মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গড়ফা এলাকায়। ‘আমি সিরাজের বেগম’-এর অভিনেত্রী অসংখ্য চ্যানেলের বহু সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ ছিলেন। এরপরেও এমন কেন ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে উঠছে হাজারো প্রশ্ন। যদিও, পাড়া-পড়শিদের একাংশর দাবি, অভিনেত্রী পল্লবী দে ও লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে কোনও ঝামেলা হতে দেখেনি তারা। কিন্তু লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে ঘোরাফেরা করলেও, কোনও ঝামেলা না হলেও আত্মহত্যা করতে গেলেন কেন ওই অভিনেত্রী। সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে জেরাপর্ব করা হচ্ছে ওই যুবককে।