রাজ্যের খবর

ফের দিদির সুরক্ষার কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতাকে পড়তে হল বিক্ষোভের মুখে !

0 0
Read Time:3 Minute, 6 Second

২৪ আওয়ার্স টিভি, ওয়েব ডেস্ক : আবারও ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূল নেতাকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল। এবার রামপুরহাটের মেলেরডাঙায় তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের বিক্ষোভ। মেলেরডাঙা থেকে রামপুরহাটের রাস্তা অচলাবস্থা । অভিযোগ উঠেছে প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাস্তা মেরামত হয়নি । এরপর রামপুরহাটের বিষ্ণুপুরে গিয়েও স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ। এই ঘটনায় বিজেপি কটাক্ষ করেছে তৃণমূলকে । যদিও তৃণমূল এই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়েছে ।

উল্লেখ্য , এক বিক্ষোভকারী মেলেরডাঙায় সাংসদের সামনে দাঁড়িয়েই বলেন , আপনি যতদিন এখানে আছেন, ততদিন আপনাকে বলছি যে , রাস্তার ব্যবস্থা করুন। এখানে আপনি যতদিন দাঁড়িয়েছেন, ততদিন আপনাকে-তৃণমূলকে ভোট দিচ্ছি। রোগী নিয়ে যেতে আমাদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। রাস্তা আমাদের দরকার। এরপরে শতাব্দী বলেন , “বাড়ি পাননি অনেকেই বলছেন। বিধবা ভাতা আর বার্ধক্য ভাতা…এই তিনটি কথাই মূলত সবাই বলছেন। দুয়ারে সরকারে অনেকেরই নাম এসেছে। অনেকেরই নতুন করে নাম আসছে। সেগুলো হয়ে যাবে। এত লোকের হয়েছে। দুয়ারে সরকারে তো ৮০-৯০ শতাংশ সমাধান হয়ে গেছে। এখনই একজন মহিলা বললেন রেশন কার্ড হয়নি। বললাম, কেন হয়নি ? ওঁর হাতের ছাপই উঠছে না। এটা একটা সমস্যা।” ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে পড়তে হয় স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে ।

উল্লেখ্য এই প্রসঙ্গে সুরের সুর ছড়িয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা কটাক্ষ করেন । তিনি বলেন, “দিদির সুরক্ষা করতে গিয়ে নিজেদেরই সুরক্ষা বিপন্ন হয়ে গেছে। তার কারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে বেশিদিন চলে না। রাস্তাঘাট তৈরি হয়নি, আবাস যোজনায় লুঠ। সর্বত্র পঞ্চায়েতের টাকায় মানুষ বঞ্চিত। অতএব যে সমস্ত পাপ এতদিন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা করেছে, এখন মানুষ আস্তে আস্তে খেপতে শুরু করেছে। যার জন্যই এই ঘেরাও-বিক্ষোভ। যত গ্রামেগঞ্জে দিদির সুরক্ষা করতে যাবে তত মানুষের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হবেন। নিজেদেরই সুরক্ষা বিপন্ন হবে।”

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Related Articles

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button