
ওয়েবডেস্ক, 24 Hrs Tv: দিনদুয়েক আগেই ভবানীপুরের বিজলি সিনেমা হলে ‘বেলাশুরু’ সিনেমার প্রিমিয়ার শো হয়েছিল। এরপরেই কলকাতার সিনেমা হলগুলিতে এই সিনেমার শো দেখার জন্য উপচে পড়েছিল আগত সিনেপ্রেমীদের ভিড়।
বছরভর পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায় দর্শকদের জন্য দারুণ উপভোগ্য ছবি উপহার দিয়ে আসছেন। তেমনই তাঁদের পরিচালনায় ‘বেলাশুরু’ মুক্তি পেল। ইতিমধ্যেই এই ছবি কোটির ক্লাবে পা ছুঁয়েছে। তবে অপ্রত্যাশিত নয়, সপ্তাহান্তেই প্রায় হাউজফুল ছিল ১৫০টি শো। লক্ষ্মীলাভের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে, প্রথম দিনে ‘বেলাশুরু’ ব্যবসা করেছে ৩৫ লাখের। দ্বিতীয়দিনে সেই ব্যবসা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখে। তৃতীয় দিনে ‘বেলাশুরু’ ব্যবসা করেছে ৬১ কোটি টাকার। সপ্তাহের শেষে ‘বেলাশুরু’-র আয় ১.৪১ কোটি।
‘বেলাশুরু’ সম্পর্কের গল্প। বয়সের ‘বেলাশেষে’ যেন এক নতুন নজির। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায় পরিচালিত ‘বেলাশুরু’ মানুষকে আবেগে ভাসিয়েছে, ডুবিয়েছে প্রথম সপ্তাহেই। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মায়ের অভিনয় দেখে বাবা-মায়ের কাথা মনে পড়ে গেল সোহিনী সেনগুপ্তের।
ছবির গল্প অনুযায়ী, অ্যালজাইমার্সে আক্রান্ত আরতির স্মৃতি ফেরানোর চেষ্টা করছে বিশ্বনাথ। আর সেই আগলে রাখা দেখে সোহিনীর যেন মনে পড়ে যায় বাবা রুদ্রপ্রসাদ আর মা স্বাতীলেখার রসায়ন। সোহিনী বলছেন, ‘মা যখন অসুস্থ ছিলেন, বাবা ঠিক এভাবেই মায়ের যত্ন করেছেন। ঠিক একদম এভাবেই। হ্যাঁ, মা ছবির গল্পের মতো ভুলে যাননি। কিন্তু মায়ের কিডনির সমস্যা হয়েছিল। এভাবেই যত্ন করেছেন বাবা। সম্পর্কের কথা বলা হচ্ছে ছবিতে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
গতকাল ছিল স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের জন্মদিন। সেইদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে একটি ভিডিও ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল। ভিডিওর শুরুটা কিছুটা এমন.. ‘হ্যালো..হ্য়ালো.. আমার কথা বোঝা যাচ্ছে? শোনা যাচ্ছে?..’ তারপরেই স্বভাবজাত ঝরঝরিয়ে বলে চললেন তিনি। ‘শুরু’-র গল্প। পাঁচ বছর পরে অভিনয় করতে পারা নিয়ে দ্বিধা, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নন্দিতা রায়ের আদর, অনর্গল স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। যে ছবিকে ঘিরে জড়িয়ে এত স্মৃতি, সেই ছবি মুক্তির পরের দিনটাই তাঁর জন্মদিন। প্রযোজনা সংস্থা উইন্ডোজ-এর তরফ থেকে শেয়ার করে নেওয়া হয়েছে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের একটি ভিডিয়ো। ৪ মিনিটের সেই ভিডিয়ো দেখতে দেখতে যেন ভুলেই যেতে হয়, যে মানুষটা ঠোঁটে হাসি মাখিয়ে কথা বলে চলেছেন অনর্গল, ছবি মুক্তির দিনটা দেখা হল না তাঁর।