
ওয়েবডেস্ক, 24 Hrs Tv, রজত শুভ্র মন্ডল : যারা সমাজের ভবিষৎ তৈরির কারিগর, তাদেরই ভবিষৎ আজ গোড়াগড়ি খাচ্ছে ধুলোয় , রাস্তায় ,ঝড় বৃষ্টিতে? এ কেমন আইনানু ব্যবস্থা আমাদের রাজ্যের। তাই বারংবার বিভিন্ন রকমের প্রতিবাদী সুর উঠে আসছে হকের চাওয়া চাকরির দাবির , চাকরি প্রার্থীদের গলা থেকে।
রোজদিনই এস এস সি চাকরি প্রার্থীদের উপর অত্যাচারের মতো , তাদের টেনে হিচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলার মতো ঘটনা উঠে আসছে বারবার। আজিই আরো একবার সেই রকমই ঘটনার সাক্ষী থেকে গেলো কলকাতার হাজরার মোড়। শুধু তাই নয় ধর্মতলা গান্ধীমূর্তির পাদদেশ থেকে উঠে আসা ওই সমস্ত , এসএসসি প্রার্থীদের আজ আরো একবার পাশে এসে দাঁড়াল মামলাকারী ববিতা সরকার। বৃহস্পতিবার সিবিআই দফতরে হাজির হন স্কুল সার্ভিস নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মামলাকারী ববিতা। মামলাকারী ববিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। মামলার নথি নিয়ে নিজাম প্যালেসে আইনজীবীর সঙ্গেই হাজির হয়েছিলেন ববিতা। সেখানে তাঁর বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই।
২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হয়েছিল । ২০১৭ সালের ২ মে সেই পরীক্ষার ফল বেরোয়। অভিযোগ, SSC-র প্রথম তালিকায় অঙ্কিতা অধিকারীর নামই ছিল না। ২০ নম্বরে নাম ছিল ববিতার। এর পর যখন নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয় এসএসসি-র তরফে, তাতে নিজের নাম ২১ নম্বরে দেখতে পান ববিতা। এর পরই সন্দেহ জাগে তার মনে। এর পরই তিনি সি.বি.আই দফতর থেকে বেরিয়ে সোজাসোজি যোগাযোগ করেন ধর্নামঞ্চের সদস্যদের। সকলকে নিজের র্যাঙ্কিং কার্ড দেখান। এর পর একে একে এসএসসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া থেকে তথ্য জানার অধিকার আইনে RTI ফাইল করা, কিছুই বাদ দেননি তিনি। কী ভাবে একধাপ পিছিয়ে গেলেন, কোন বিষয়ে, কত নম্বর পেয়েছেন, তা জানতে এদিক ওদিক যেতে শুরু করেন তিনি। সংসার, দুই সন্তান সামলে আইন-আদালতের পাশাপাশি, আন্দোলনেও নিয়মিত অংশ নিয়ে চলেছেন বিগত পাঁচ বছর ধরে। সেই মামলাতেও সিবিআই দফতরে যেতে হয় পরেশকে। ববিতার মামলার জেরেই স্কুল শিক্ষিকার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতাকে। দুই কিস্তিতে ৪১ মাসের বেতন ফেরতেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।