
ওয়েবডেস্ক,24 Hrs Tv: আরও একবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাম। এবার বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে উঠল এক নতুন অভিযোগ। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির পর লালুপ্রসাদ যাদব এবং তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসল খবরে। অভিযোগ, কী? অভিযোগ, হল বিহারে মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় রেলে ‘অবৈধ’ ভাবে কর্মী নিয়োগ করা। আর এই অভিযোগের খবর পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সিবিআই আধিকারিকরা লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়ি সহ-১৫ টি জায়গায় হানা দেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সকাল সিবিআই-এর আধিকারিকরা তল্লাশি শুরু করেন তাঁর বাড়ি সহ-১৫ টি জায়গায়। এদিকে, লালুর বাড়ি ঘিরে রেখেছে বিশাল পুলিশবাহিনী। আরজেডি নেতা অলোক মেহতা বলেন, ‘শক্তিশালী কণ্ঠস্বরকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সিবিআই-এর কাজ এবন তদন্ত সম্পূর্ণরূপে পক্ষপাতদুষ্ট।
এর আগেও একাধিক দুর্নীতি মামলায় নাম উঠে এসেছিল বিহারের প্রবীণ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের। সূত্রের খবর, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত পাঁচটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে সাড়ে ৯৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। চাইবাসা ট্রেজারি থেকে ৩৭.৭ কোটি ও ৩৩.১৩ কোটি টাকার অভিযোগ, দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৮৯.২৭ কোটি টাকা ও দুমকা ট্রেজারি থেকে ৩.৭৬ কোটি টাকা অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে।
ফেব্রুয়ারিতেই সিবিআই বিশেষ আদালতের তরফে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানাও দেন। এপ্রিলে তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। মোট চোদ্দ বছরের কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন বিহারের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু যাদব। তবে, তাঁর শাস্তি মোট সাড়ে ৩ বছরের।
পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে পশুখাদ্য মামলার অভিযোগ পেয়ে লালুপ্রসাদ যাদবকে জেলে পাঠানো হলেও শরীর খারাপের জন্য বেশিরভাগ সময় ঝাড়খণ্ডের রাজেন্দ্র ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নয়া একটি মামলায় দিনদুয়েক আগেই বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ তথা আইনজীবী পি চিদাম্বরম এবং তাঁর পুত্র কার্তি চিদাম্বরমের দিল্লি, পাঞ্জাব ও তামিলনাড়ু-সহ একাধিক বাড়ি এবং কার্যালয় হানা দিয়ে তল্লাশি চালান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সূত্রের খবর এমনটাই।