
ওয়েবডেস্ক, 24 Hrs Tv: প্রথম থেকেই হিংসাত্মক, ভুক্তভোগী ও বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা। নয়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে রণিল বিক্রমঙ্ঘ দায়িত্ব পাওয়ার পর ফের একবার চরম সঙ্কটে ধুঁকতে শুরু করেছে রণিল বিক্রমসিঙ্ঘের দেশ। ইতিমধ্যেই সে দেশে আর্থিক সঙ্কট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেই সঙ্গে জ্বালানির সঙ্কটও তীব্রতর হয়ে উঠছে। তবে আগামী দিনে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার অবস্থা কেমন হবে, কী হবে। এরকম পরিস্থিতি কতদূর গিয়ে ঠেকবে। তা সকলের কাছে অজানা বিষয়।
রবিবারই জাতির উদ্দেশে ভাষণে চরম সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা আশঙ্কার কথাই শোনা যায় সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন মুখ্যমন্ত্রী রণিল বিক্রমসিঙ্ঘের মুখে। তিনি বলেন, জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে। মাথায় হাত। চিন্তার ভাঁজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে, চরম এই সঙ্কটের মোকাবিলার পথ কী খোলা রয়েছে? ইতিমধ্যেই ‘লঙ্কারাষ্ট্র’ বাইরে জ্বালানি তেল নিয়ে অপেক্ষায় আছে তিন তিনটি জাহাজ। কিন্তু জ্বালানি তেল পেতে গেলেও বিদেশি মুদ্রার খুবই প্রয়োজন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশবাসীকে মিথ্যে বলার কোনও ইচ্ছেই নেই তাঁর। তবে, আর্থিক দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে টাকা দেওয়ার জন্য নোট ছাপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, চরম বিপদে পড়া লোকসানে চলা রণিলের সরকার শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স এই সংস্থাকে বিক্রি করতে যাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রশাসন। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এই বিমান সংস্থা নাকি ১২৪ মিলিয়ন ডলার লোকসান করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, দেশের স্বার্থে এটা একেবারেই কাম্য নয়। কারণ, মারাত্মক ক্ষতিটা তাঁর দেশেরই সমস্ত দরিদ্রদের বহন করে চলতে হবে। কিন্তু ওই দেশের কোনও বাসিন্দাই বিমানযাত্রা করেননি।
যদিও শপথের পরই বিক্রমসিঙ্ঘে জানিয়েছিলেন, আগামী কয়েক মাস আমাদের জীবনের সবচেয়ে দুরূহ মাস। তাই আরও একবার দেশবাসীকে ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী। এরপরেও ‘লঙ্কায়’ জ্বালানি সঙ্কট তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করেছে। এখন দেখার রণিল বিক্রমসিঙ্ঘে জ্বালানি সঙ্কট থেকে আদৌ বেরোতে পারবেন কি না। বা তাঁরই দেশে বাস করা দেশবাসীকে জ্বালানি থেকে কবেই মুক্তি দিতে পারেন তিনি। কারণ, দিন যত এগোচ্ছে, সময় যত যাচ্ছে, ততই বাড়ছে জ্বালানি সঙ্কট। যা প্রকট হচ্ছে আরও।