
ওয়েবডেস্ক, বিশ্বজিৎ দাস : ২৬ জুন জিটিএ ভোট, ২৯ জুন নির্বাচনের ফলপ্রকাশ পাহাড়ে। ভোটের এই খবর ঘোষণা করা হয়েছে মঙ্গলবার। আর একই দিনে ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদেও। ওই একই দিনে ভোটপুজো অনুষ্ঠিত হবে উত্তর ২৪ পরগনা পানিহাটি ও পুরুলিয়ার ঝালদাতেও। পানিহাটি ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্ত হত্যাকাণ্ডে ভোট না হওয়ায় এই ওয়ার্ড স্থগিত হয়ে রয়েছিল। এরই পাশাপাশি ঝালদার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় এই ওয়ার্ডও ফাঁকা পড়ে রয়েছিল। তাই জিটিএ নির্বাচনের দিনে উপনির্বাচন হতে চলেছে এইসব জায়গায়।
উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার ৩ নং ওয়ার্ড, চন্দননগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেও ভোট রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর। আবার ওই একই দিনে দমদমের ৪ নম্বর ওয়ার্ড, দক্ষিণ দমদমের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডেও ভোট রয়েছে। ভোটের প্রাক্কালেই চন্দননগরে অসুস্থ হয়ে বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু হয়। আর সেই জায়গায় জিটিএ নির্বাচনের দিনে উপনির্বাচন হতে চলেছে এইসব কেন্দ্রে।

কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচন করানো নিয়ে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকার সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বৈঠক হয়। তার পরই নির্বাচনের দিন চূড়ান্ত হয় বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন না হওয়ার একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছিলেন জিএনএলএফ-এর সভাপতি বিমল গুরুং। কারণ, বিমল গুরুং বারেবারেই দাবি করে আসছেন যে, ‘পাহাড়ে রাজনীতির স্থায়ী সমাধান আগে হোক’। তারপরে হবে জিটিএ নির্বাচন। আর এই নিয়ে তিনি অনশনে বসেন এদিন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই দার্জিলিং-য়ে এক সর্বদলীয় বৈঠকে জিটিএ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। সেদিনের বৈঠকে দেখা যায়নি বিজেপির প্রতিনিধি ও বিমল গুরুংদের। বৈঠক বয়কট করেন বিজেপির প্রতিনিধি ও বিমল গুরুংরা। যদিও, এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস শিবির জোর কটাক্ষ করতে শুরু করেছে। কটাক্ষের সুরে বলেন, পাহাড়ে কোনও সংগঠন নেই, তাই ভোট না করানোর দাবি নিয়ে বৈঠক বয়কট করেছেন তাঁরা। ভোট না করানোর দাবি জানিয়েছে ‘পদ্ম’ শিবিরও।
আর তাই চব্বিশের লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে জোড়াফুল শিবিরের? প্রশ্ন উঠছে এই নিয়ে। এখন দেখার, জিটিএ নির্বাচন ২৬ জুন হবে নাকি নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসবে। সবই সময়সাপেক্ষ।