কতটা সুরক্ষিত তিহাড় জেল, সেই জেলেই বন্দি কেষ্ট
24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : মঙ্গলবার সকালেই তিহাড় জেলে বন্দি গ্যাংস্টার তিলু তাজপুরিয়ার উপর হামলা চালানো হয়। তাঁর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ যোগেশ টুন্ডু ও তাঁর সহকারীদের বিরুদ্ধে। লোহার রড দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে তিহাড় জেলে। এই হামলায় আজ সকালেই মৃত্যু হয়েছে তিলুর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিহাড় জেলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আর দিল্লির এই জেলেই বন্দি রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি সেখানে ঠাঁই হয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের। ফলে আজ সকালের এই ঘটনার পরে তাঁরা কতটা সুরক্ষিত এই নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বাবা ও মেয়ের তিহাড় জেলে আসার পর এমন এক মর্মান্তিক ঘটনায় আতঙ্কিত তাঁরা। শুধু তাই নয় জেলের ভেতরে সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সকল বন্দিদের নিরাপত্তা তাহলে আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তা নিয়েও উত্তাল রাজনৈতিক মহল।
এই জেলেই ঠাঁই হয়েছে আরও অনেকের। অনুব্রত, সুকন্যা ছাড়াও বাংলা থেকে মণীশ কোঠারি, সায়গল হোসেন ও এনামূল হকও বন্দি রয়েছেন তিহাড় জেলে। এদিকে শুধু পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাই নন। এই জেলে রয়েছেন দিল্লি সরকারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, শিক্ষমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এদিকে অসুস্থতার দেখিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। মঙ্গলবার সকালে তিহাড় জেলের এই রক্তারক্তি কাণ্ডের পর জামিনের জন্য অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী আরও একটি অস্ত্র হাতে পেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। তিহাড় জেলের ৯ নম্বর সেলে বন্দি ছিলেন গ্যাংস্টার তিলু রাজপুরিয়া। আর তাঁর ঠিক পাশের সেল ৮ নম্বরেই ছিলেন দুষ্কৃতী যোগেশ টুন্ডা। লোহার গ্রিল টপকেই রড দিয়ে তিলুর উপর আঘাত হেনেছে বলে অভিযোগ উঠেছে যোগেশ ও তাঁর সহকারীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর অবস্থায় তিলুকে ভর্তি করা হয় দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে। কিন্তু তাঁকে সেখানে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার পর তিহাড় জেলের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত বন্দিরা।