বিষধর! বদলা নিতে সেই কেউটেকেই কামড়ে মৃত সাপ গলায় নিয়ে গ্রামে ঘুরলেন ব্যক্তি

Read Time:3 Minute

২৪ আওয়ার্স টিভি ওয়েব ডেস্ক: সাপকে ভয় পান না এমন মানুষ কার্যত খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর সেই সাপ যদি কেউটের মত তীব্র বিষাক্ত হয়, তাহলে তো আর কথাই নেই। যার একটি ছোবলেই সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আর সেই কারণেই এই সাপ থেকে নিরাপদ দূরত্ব অবলম্বন করেন সবাই। তবে, এবার একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা সামনে এসেছে। যা শুনে ভিরমি খাবেন যে কেউই। মূলত, বিষধর সাপের কামড় খাওয়ার পরেই রেগে গিয়ে সেই সাপটিকেই কামড়ে মেরে ফেললেন এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, মৃত সাপটিকে গলায় পেঁচিয়ে সাইকেল নিয়ে ঘুরেও বেড়ান ওই ব্যক্তিটি। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

জানা গিয়েছে, ওড়িশার বালাসোর জেলার বাস্তা পুলিশ সীমানা এলাকার দারাদা গ্রামের বাসিন্দা সলিল নায়েক এই অদ্ভুত কান্ডটি করেছেন। এমনকি সাপ মারার দায়ে ওই ব্যক্তিকে আটকও করে বন দপ্তর। যদিও, পরে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। এদিকে, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অবাক হয়ে যান সকলে। পাশাপাশি, কেউটের মত বিষধর সাপের কামড় খেয়ে ওই ব্যক্তি চিকিৎসা না করিয়েও কিভাবে সুস্থ থাকলেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

খবর অনুযায়ী, কদিন আগে পর্যন্ত বন্যার কারণে জলমগ্ন ছিল দারাদা গ্রামটি। এমতাবস্থায়, জমিতে ঘাস কাটার সময়ে একটি কেউটে সাপের কামড় খান সলিল। যদিও, এই ঘটনায় তিনি অত্যন্ত রেগে যান। পাশাপাশি, হাসপাতালে যাওয়ার পরিবর্তে তিনি ওই সাপটিকে খুঁজতে শুরু করেন। তারপরেই সাপটিকে পেয়ে তিনি সটান কামড় বসিয়ে দেন তার গায়ে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মারা যায় সাপটি।

এমতাবস্থায়, গলায় মৃত সাপটিকে পেঁচিয়ে গোটা গ্রামে সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াতে থাকেন সলিল। এদিকে, সাপটির কামড় খাওয়ার পরে সকলে তাঁকে হাসপাতালে যাওয়ার কথা জানালেও সেদিকে কর্ণপাত করেন নি তিনি। ইতিমধ্যেই, তাঁর সাপ নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। পাশাপাশি, ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পারে প্রশাসনও।

তারপরেই, বন্যপ্রাণী হত্যার অভিযোগে আটক করা হয় সলিলকে। এই প্রসঙ্গে বালাসোর জেলা বন আধিকারিক আয়ুশ জৈন জানিয়েছেন যে, এই ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে তিনি আর না ঘটান সেই বিষয়ে সলিলকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু, কেউটের কামড় খেয়েও সলিল কিভাবে সুস্থ থাকলেন সেই বিষয়ে এখনও কোনো উত্তর মেলেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *