গাজোলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, রাজ্য ও কেন্দ্র শিশু সুরক্ষা কমিশনের মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে

Read Time:4 Minute

24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক: তিলজলার পর মালদহেও একই ঘটনা। গাজোলেও রাজ্য ও কেন্দ্র শিশু সুরক্ষা কমিশনের মধ্যে সংঘাত। কয়েকদিন আগেই এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় শনিবার ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিকরা। এনসিপিসিআর দলের প্রতিনিধিদের তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল গাজোলেও। অভিযোগ, রাজ্যের প্রতিনিধি দল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যেতেই শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। এমনকি দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সেখান থেকে পরবর্তীকালে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দেয়। এই ঘটনা নিয়ে শনিবার সকালে গিয়ে তরজায় জড়িয়েছিলেন কেন্দ্র এবং রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিকরা। এবার সেই ঘটনার জেরেই নির্যাতিতার বাড়ির সামনে রাজ্যের শাসক এবং বিরোধী দলের মধ্যে হাতাহাতিতে রণক্ষেত্রে পরিণত হল এলাকা।কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্কা কানুনগো জানিয়েছেন, তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা যে চিকিৎসক করেছেন, তার সঙ্গে কথা হয় তাঁদের। কিন্তু ঘটনার সময় যে চিকিৎসক দেখেছিলেন তাঁদের সঙ্গে কথা হয়নি। জানা গেছে, ঘটনার পর শিশুটির মা স্কুলের শিক্ষককের সঙ্গে কথা বলেন। তবে শিক্ষক তাঁকে উত্তর দেন যে দু’দিন পর এই বিষয়ে কথা বলতে বলেন। এরপর ওই শিক্ষক স্কুলে আর আসেনি। তিনি আরও বলেন, শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁর অভিযোগ, এই এলাকায় অনেকের বাড়িতেই সুলভ শৌচালয় নেই। তাই বাথরুমের জন্য বাইরে যেতে হয় ওদের।এখানেই শিশুটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শিশুটি যাতে তাঁকে যাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা করবেন তাঁরা।

স্থানীয় সূত্রে খবর,যখন কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষার দল নির্যাতিতার বাড়ির ভিতরে ঢুকেছিল,তখন সাগরিকা-সহ তৃণমূলের সদস্যেরা সেখানে পৌঁছন ততক্ষণে বেরিয়ে এসেছিলেন রাজ্যের শিশু সুরক্ষার কমিশনের প্রতিনিধিরা। অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দিকে সদলবলে ঝাঁপিয়ে পড়েন সাগরিকা। দু’পক্ষই একে অপরের দিকে কিল-চড়-ঘুষি চালাতে থাকে। জুতো হাতে নিয়ে বিজেপি কর্মীদের শাসাতেও দেখা যায় সাগরিকাকে। তবে পুলিশি মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিনা প্ররোচনায় প্রথম ঝামেলার সূত্রপাত করার অভিযোগে সাগরিকাকে বাঁশ দিয়ে তাড়াও করতে দেখা যায় গ্রামবাসীদের। পুলিশের সঙ্গেও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় স্থানীয়দের। স্থানীয়রা তাড়া করায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান সাগরিকা। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বিনা প্ররোচনায় গন্ডগোল পাকানোর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু বাংলার মেয়েদের

সুরক্ষা কোথায় এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *