জীবন বিপন্ন করে বাঁচিয়েছিলেন অনেককেই, সেই মামা ভাগ্নেকে ঢুকতে দেওয়া হল না মুখ্যমন্ত্রীর সভায়!

Read Time:2 Minute

24 HrsTv, ওয়েব ডেস্ক ঃ দশমীর সেই বিভীষিকার রাত। মাল নদীতে হড়পা বানের তোড়ে ভেসে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৮ জন। তবে নিজেদের জীবন বাজি রেখে বেশ কয়েকজন স্থানীয় যুবক নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রাণ বাঁচান একাধিক একাধিক মানুষের। সেই সাহসী যুবকদের তালিকায় ছিলেন তরিফুল ইসলাম ও ফরিদুল ইসলাম। সম্পর্কে তাঁরা নাকি মামা-ভাগ্নে। কিন্তু প্রচারে আলো পড়ল বা তাঁদের উপর। আড়ালেই থেকে গেলেন দুই যুবক।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন উত্তরবঙ্গ সফরে। গতকাল গেছেন মাল বাজারে। দেখা করেন সেদিনের দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, এনডিআরএফের সঙ্গে উদ্ধারে নামা দারা সিং, মানিক মহম্মদদের আজ মঙ্গলবারের সরকারি বৈঠকে ডাকেও পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু সেই বৈঠকে ডাক পেলেন না তরিফুল ও ফরিদুল।

মমতার সভায় ডাক না পেলেও স্থানীয়দের থেকে বুকভরা প্রশংসা কুড়িয়েছেন তাঁরা। এদিন এই দুই যুবক মাল আদর্শ বিদ্যাভবনেও আসেন। কিন্তু আমন্ত্রণ না থাকায় পুলিস তাঁদের ঢুকতে বাধা দেয়। তারপরই নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।

যেভাবে বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও স্থানীয় মানুষ এক সঙ্গে সেদিন মানুষকে বাঁচাতে নেমেছিলেন এদিনের সভা থেকে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় অন্তত ৪৫০ জন মানুষের জীবন সেদিন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের ধন্যবাদ জানানোর জন্য সেইসব মানুষকে সরকারি সভায় ডেকে পাঠান তিনি। তবে জানা যাচ্ছে, কাদের ডাকা হবে, সেই তালিকা তৈরি করার দায়িত্ব থাকে স্থানীয় প্রশাসনের হাতেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *