নয়া উদ্যোগ। রাজ্যের স্কুলগুলিতে নতুন শ্রেণিতে উঠলেই থাকবে পড়ুয়াদের ‘ গ্র‌্যাজুয়েশন সেরিমনি’

Read Time:4 Minute

24Hrs Tv, ওয়েব ডেস্কঃ বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষায় কোর্স সম্পন্ন করা তথা উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের সাফল্যকে প্রাধান্য দেওয়া বহুদিনের রেওয়াজ। যা গ্র‌্যাজুয়েশন সেরিমনি সমাবর্তন নামে পরিচিত। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নবীন বরণ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন পড়ুয়াদের স্বাগতও জানানো হয়। কিন্তু, স্কুল পড়ুয়ারা
প্রতি বছর নিঃশব্দেই এক শ্রেণি থেকে আর এক শ্রেণিতে উন্নীত হত। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই বদলাতে চলেছে সেই চিত্র। স্কুলে নতুন শ্রেণিতে উন্নীত হওয়া পড়ুয়াদের জন্যেও রাজ্যের স্কুলগুলিতে হবে ‘গ্র‌্যাজুয়েশন সেরিমনি’।
যার মাধ্যমে পড়ুয়াদের পূর্ববর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া এবং নতুন শ্রেণিতে উন্নীত হওয়া– দুই-ই পালন করা হবে।
স্কুলে স্কুলে গ্র‌্যাজুয়েশন সেরিমনি পালন করা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ১৩ দফার গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর তেমনটাই কামা গিয়েছে। ২ রা জানুয়ারি প্রতিবছর রাজ্যের স্কুলগুলিতে ‘বই দিবস’পালন করা হয়। স্কুল শিক্ষা দফতরের গাইডলাইন অনুযায়ী, বই দিবসের পরের দিন অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নতুন শ্রেণিতে উন্নীত পড়ুয়াদের সংবর্ধনা দিতে আয়োজন করতে হবে ‘গ্র‌্যাজুয়েশন সেরিমনি’র। পড়ুয়াদের স্বাগত জানাতে নতুন শ্রেণিতে শিক্ষক টফি/ক্যান্ডি, মিষ্টি ইত্যাদি দেবেন।
শ্রেণি শিক্ষক স্বাগত ভাষণের সঙ্গে সকল পড়ুয়া নিজেকে শ্রেণি শিক্ষক ও অন্যান্যদের সঙ্গে পরিচিত করাবেন। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবা সম্পর্কে প্রতিটি ক্লাসের এই অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক স্কুলের ইতিহাস এবং স্কুল পড়ুয়াদের সম্পর্কে জানাবেন। জন্মতারিখ-সহ প্রত্যেক পড়ুয়ার ছবি দিয়ে স্কুলে একটি ফটো কর্নার তৈরি করতে হবে। প্রতিটা ক্লাসের সকল ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে শ্রেণি শিক্ষকের ছবি তুলে ফটো কর্নারে সাজিয়ে রাখতে হবে। শুভেচ্ছা, ভালবাসা জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত চিঠি দিতে হবে সকল পড়ুয়াকে।
পুরো অনুষ্ঠানটিকে লিপিবদ্ধ করে বুকলেট আকারে প্রতিবছর প্রকাশ করবে স্কুল। শুধু গ্র‌্যাজুয়েশন সেরিমনি নয়, হাউজ ব্যবস্থা, রিডিং হ্যাবিট, আনন্দ পরিসর, শিশু সংসদ –পড়ুয়াদের সামগ্রিক বিকাশের লক্ষ্যে স্কুলে আরও চারটি নতুন কার্যকলাপ চালুর নীতি গ্রহণ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। কীভাবে পরিচালিত হবে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত গাইডলাইন গত ১৫ অক্টোবর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদকে পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন। আগামী শিক্ষাবর্ষ তথা ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই
সেগুলি রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে চালু করতে চায় স্কুল শিক্ষা দফতর অবশ্যই গাইডলাইন মেনে। আগামী ২ রা নভেম্বর দুপুর ১২টায় কার্যকলাপগুলির সঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের পরিচয় ঘটাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে। এ বিষয়ে অবগত করতে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের নভেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কর্মশালার আয়োজন করতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *