পিছিয়ে থেকেও লক্ষ্যপূরণ করল ফ্রান্স!

Read Time:3 Minute



24Hrs Tv, সৌরভ দত্ত: মঙ্গলবার দোহার আল জানুব স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় এশিয়ার দল অস্ট্রেলিয়া। ৯ মিনিটে ল্যাকির পাস থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন গডউইন। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ফরাসিদের স্তব্ধ করে উল্লাসে ভাসে অস্ট্রেলিয়া শিবির। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি গ্রাহাম জেমস আর্নলডের অস্ট্রেলিয়া।


২৭ মিনিটে র‍্যাবিওট প্রথম গোল করে ফ্রান্সকে সমতা ফিরিয়ে দেন। কর্নার কিকের পাসে হার্নান্দেজ বল পেয়ে ক্রস করেন আবার ডি বক্সে। সেখানে থাকা র‍্যাবিওট দারুণ এক হেডে দলকে সমতায় ফেরান। তার ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপ্পের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সে কাট ব্যাক করেন র‍্যাবিওট। সে বল পায়ের আলতো টোকায় ফাঁকা পোস্টে গোল দিতে ভুল করেননি জেরার্ড।
সমতায় ফিরতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়াও সুযোগ পায় প্রথমার্ধের শেষ দিকে। ইরভাইনের শটে ফ্রান্সের ডি-বক্সে বল পান গডউইন। তবে তার কোনাকুনি হেড গিয়ে লাগে গোলবারে। ফলে আক্ষেপে পুড়তে হয় সকারুদের। তবে এমবাপ্পে গোল মিস না করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত ফ্রান্সের। ফলে ২-১ গোলের ব্যবধানে থেকেই বিরতিতে যায় দেশমের শিষ্যরা।


বিরতি থেকে ফিরে ফ্রান্স আরও অপ্রতিরোধ্য গতিতে জ্বলে ওঠে। যার ফলে দ্রুত আরও এগিয়ে যায় তারা। প্রথমার্ধের ভুল এবার করেননি এমবাপ্পে। ৬৮ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণে ডান দিক থেকে উসমান দেম্বেলে ডি বক্সের মাঝামাঝি জায়গায় বল পাঠান। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার দুই ডিফেন্ডারের মাঝে লাফিয়ে হেড করে বল জালে জড়ান পিএসজি এই তারকা ফরোয়ার্ড।

তার তিন মিনিট পরে আবারও গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। এমাবাপ্পের সহায়তায় এবার নিজের দ্বিতীয় গোল করেন জেরার্ড। বাঁ প্রান্ত থেকে এমবাপ্পের ক্রস থেকে হেডে দারুণভাবে বল জালে জড়ান তিনি। এই গোলের মাধ্যমে ফরাসি জার্সিতে তেরি হেনরির সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৫১ গোলের মালিক বনে যান এই তারকা।
শেষদিকে আরও কয়েকবার সুযোগ পেলেও কাঙ্ক্ষিত গোল না হলে ৪-১ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল ইউরোপের দলটি। ফ্রান্সের হয়ে জোড়া গোল করেন জেরার্ড। এছাড়া ১টি করে গোল করেন এমবাপ্পে ও রাবিওট। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন গুডউইন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *