”বন্যরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”

Read Time:2 Minute

২৪ আওয়ার্স টিভি ওয়েব ডেস্ক :কিং কংকে মনে আছে নিশ্চই! বিশাল আকৃতির সেই গোরিলা। মানুষ না হলে কি হবে তাদের আছে আবেগ। একটি রয়েছে থাইল্যান্ডে। যার মনে বেজায় দুঃখ।থাইল্যান্ডের বন্যপ্রাণী অধিকার অফিসাররা বহু কষ্টেও সেই দুঃখী গোরিলাকে উদ্ধার করতে পারেনি। যার কথা বলছি সেই আবেগপ্রবণ গরিলা প্রায় ৩২ বছর ধরে বন্দি থাইল্যান্ডের চিড়িয়াখানায়। তারা থাকতে চাই না, তবুও আমরা তাদের বন্দি করে রাখি চার দেয়ালের মধ্যে। ভাবুন তো কেমন লাগে প্যাকে যদি কেউ ৩২ বছর বন্দি করে রাখে ?এই বেদনাতেই মর্মাহত বিশ্বের সবচেয়ে দুঃখী গোরিলা। আজ সে মুক্তির পথে চেয়ে রয়েছে। চিড়িয়াখানার মালিক খুব ই কঠোর। তার দাবি গুনে গুনে ৭,৮০,০০০ ডলার না দিলে ছাড়া যাবে না ওই গোরিলাটিকে। ভারতীয় টাকায় যার মূল্য আনুমানিক ৬.৪ কোটি টাকা। ও নামটাই তো বললাম না। তার নাম “বুয়া নোই “।

১৯৯০ সাল থেকে সে বন্দি রয়েছে খাঁচায়। ২০১৫ সাল থেকে থাইল্যান্ড সরকার এবং পশু অধিকার গোষ্ঠী যৌথ উদ্যোগে চেষ্টা করছে তাকে উদ্ধার করার। প্রাকৃতিক সম্পদ সচিবের মন্ত্রীসংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন “বুয়া নোই “-এর মুক্তির জন্য সরকার দাতব্য তহবিল সংগ্রহের ব্যবস্থা চলছে। কিন্তু এখনো অবধি “বুয়া নোই “-এর মুক্তিপণ জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। “বুয়া নোই ” ওই চিড়িয়াখানার মালিকের কাছে বেক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৯০ সালে যখন ওই গোরিলার মাত্র এক বছর বয়স ছিল, চিড়িয়াখানার মালিক তাকে জার্মানি থেকে ৩ মিলিয়ন থাই মূল্যের বিনিময়ে কিনেছিলেন। প্রায় ৩৩ বছর ধরে ওই গোরিলা খাঁচায় বন্দী। আর এত বছর পর তার মুক্তিপণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *