
ত্বকের যত্নে এক চামচ ঘি, ত্বকের বার্ধক্যও রুখে দিতে পারবেন আপনি
24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : ঘি শুধু রান্নার কাজে নয় শুষ্ক ত্বকে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আরও একটি গবেষণায় দেখা যায়, ঘি-বেসড ক্রিম ত্বকের আর্দ্রতার ঘাটতি মেটায়। ডার্ক সার্কেল মলিন করতেও সাহায্য করে। চোখের চারপাশে সামান্য পরিমাণে ঘি নিয়মিত মালিশ করলেই ডার্ক সার্কেল মিলিয়ে যেতে সময় লাগে না। রান্নার সাথে সাথে ত্বকের ও সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। তাই রইল কিছু টিপস। আবার বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ঘি ত্বকের স্বাস্থ্য ফেরাতেও খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। জেল্লাও হয় ভরপুর। কিন্তু কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে? রান্নাঘরের অতিসাধারণ উপাদান এই ঘি। রান্নায় ব্যবহার করলে যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ে, তেমনই মুখে ঘি মাখলেও ত্বক অনেক বেশি নরম ও উজ্জ্বল হয়। তাছাড়া প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের উপর ঘিয়ের ব্যবহার চলে আসছে। যাঁরা ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নেন, তাঁরা সবসময় আয়ুর্বেদিক টিপসও মেনে চলেন। আয়ুর্বেদিকের পরামর্শ মেনে হজম স্বাস্থ্য উন্নত করা থেকে শুরু করে, ত্বক-চুলেরও যত্ন নেওয়া যায়। আর যখনই আয়ুর্বেদে ত্বকের যত্নের প্রসঙ্গ আসে, তখন অগ্রাধিকার পায় ঘি।
রুক্ষ শুষ্ক ঠোঁট আবার কোমল এবং গোলাপি করে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ঘি। ঘিয়ের মধ্যে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে রয়েছে। উচ্চ মাত্রা ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ ঘি। তাছাড়া এই উপাদানের মধ্যে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই সব উপাদানগুলো ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করে। এটি নাইট ক্রিম হিসেবেও কাজ করে। চোখের কোণে সূক্ষ্মরেখা, কপালে বলিরেখা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ঘি। ঘিয়ের মধ্যে ভিটামিন এ, ডি এবং ই রয়েছে, যা ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।এছাড়া আপনি ফুট ক্রিম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন ঘি। রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে পায়ের পাতা ও গোড়ালিতে ভাল করে ঘি মালিশ করে নিন। এতে পা ফাটার সমস্যা এড়ানো যাবে। একইভাবে, ঠোঁটের উপর ঘি লাগাতে পারেন। এতে ঠোঁট ফাটবে না।
ঘিয়ের মধ্যে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান রয়েছে। দিনের শেষে এক চামচ ঘি দিয়ে রূপচর্চা সেরে ফেলুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ত্বকের উপর ঘি লাগিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। ত্বক সম্পূর্ণ ঘি শুষে নেওয়া পর্যন্ত মালিশ করবেন। তবে তৈলাক্ত ত্বকেও সরাসরি ঘি না লাগানোই উচিত। কিন্তু ঘরোয়া ফেসপ্যাকে ঘি ব্যবহার করা যেতেই পারে।
Average Rating