
বিরাট বন্দর হবে তাজপুরে! আদানি গোষ্ঠীর হাতে নথি তুলে দিলেন মমতা
২৪ আওয়ার্স টিভি ওয়েব ডেস্ক : বিনয়োগে বড় সাফল্য বাংলার। অবশেষে বড় কোনও শিল্পপতি পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করার রাস্তা অনেকটা পরিস্কার হল। জাঁকজমক করেই পালিত হল রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান। আর সেই অনুষ্ঠানেই রাজ্যে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল রাজ্য। এদিন বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে তাজপুর বন্দরের নথিপত্র হস্তান্তরিত করা হল আদানি গ্রুপকে । আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানি এর আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এদিন আদানিপুত্র করণ আদানির হাতে তাজপুর বন্দরের নথি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
গত সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আদানি গোষ্ঠীর হাতেই বন্দর তৈরির সমস্ত দায়িত্ব দেওয়া হবে। রাজ্য মন্ত্রিসভাও সেই উদ্যোগকে ছাড়পত্র দিতে বেশি সময় নেয়নি। এবার সেই সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র তুলে দেওয়া হল করণ আদানির হাতে।
এদিনের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে একাধিক শিল্পপতি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সমাজের অন্যান্য অংশের প্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন সমাজের একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শিল্পদ্যোগী সহ সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় নিজেই। এরপরই সকলকে সাক্ষী রেখে তাজপুর বন্দর সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তুলে দেন আদানিপুত্র করণের হাতে। দ্রুত এখানে কাজ শুরু হবে বলেও এদিন তিনি আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তাজপুরে সমুদ্র বন্দর তৈরি হলে জলপথে বাণিজ্যের এক নতুন নতুন দিক খুলে যাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বর্তমানে জলপথ বাণিজ্যের সমস্ত চাপ রয়েছে হলদিয়া বন্দরের উপর। নাব্যতার দিক থেকেও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে এই বন্দরটির। এবার তাজপুর বন্দর চালু হলে হলদিয়া বন্দরের উপর থেকে এই মারাত্মক চাপ অনেকটাই হ্রাস বলে দাবি রাজ্য সরকারের। এর উপর বৃদ্ধি পাবে কর্মসংস্থানও। কাজের সুযোগ বাড়বে স্থানীয় যুবকদের। বাণিজ্যর ক্ষেত্রেও বাংলা অনেকটা এগিয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই বন্দর নিয়ে টুইট করে করণ আদানি নিজেই। তিনি নিজের টুইটার হ্যাণ্ডেল থেকে লেখেন, ‘বাংলার প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি হবে। তবে শুধু বন্দর তৈরি করব না, পূর্বভারতে জলপথের গেটওয়ে গড়ে উঠবে।’ এই বন্দর নিয়ে শুরু থেকেই প্রচণ্ড আশাবাদী রাজ্য সরকার।