
করুণাময়ীর ঘটনার প্রতিবাদে আজ থেকে সব বিজয়া সম্মিলনী বাতিল বিজেপি-র
২৪ আওয়ার্স টিভি ওয়েব ডেস্ক : করুণাময়ী থেকে টেট আন্দোলনকারীদের বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোর করে উঠিয়ে দেয় পুলিশ। তারপর থেকেই পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন মত আসতে শুরু করেছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিদ্বজ্জনেরা। এমন পরিস্থিতিতে কলকাতায় চাকরিপ্রার্থীদের উপর পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে শনিবার থেকে বিজেপি বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল পদ্ম শিবির।শুক্রবার নদিয়ায় বিজেপির এক কর্মসূচি থেকে এই কথা জানান বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
শনিবার থেকে বিজয়া সম্মিলনীর বদলে প্রতিবাদ সভা পালিত হবে বলেও জানান তিনি।করুণাময়ীর ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিজেপির রাজ্য অফিস থেকে একটি মিছিল শুরু করা হয়েছিল। সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, সজল ঘোষরা। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল। গতকালই দুপুরে এবিভিপির তরফ থেকেও সল্টলেক সিটি সেন্টার চত্বরের বাইরে রাস্তার উপর একপ্রস্থ প্রতিবাদ দেখানো হয়েছিল। এবার সেই প্রতিবাদের সুর আরও চড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জানিয়ে দিলেন, আর কোনও বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করবে না বঙ্গে।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করে রাজ্যের শাসক শিবিরের উপর আরও চাপ বাড়াতে প্রস্তুত বঙ্গ বিজেপি। তবে বিজেপি সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা প্রতিবাদ করেছি। আমাদের অনেক নেতারা গ্রেফতার হয়েছেন। আমাদের বিভিন্ন মণ্ডলে লাগাতার বিজয়া সম্মিলনী পালিত হচ্ছিল। আমরা অমানবিক নই, যে হড়পা বানে একদিকে মানুষ মরে যাবে আর আমরা কার্নিভাল করব। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শনিবার থেকে আমাদের সমস্ত বিজয়া সম্মিলনী বাতিল করে, পরিবর্তে প্রতিবাদ সভা ও কর্মিসভার আয়োজন করব।” পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা… ইতিমধ্যেই অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার বার বার বলছে, কোথাও কোনও দুর্নীতি থাকলে, সরকার ও দল কড়া ব্যবস্থা নেবে।