জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ব্রাজিল

Read Time:4 Minute

২৪ আওয়ার্স টিভি, সৌরভ দত্ত : দোহার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই সার্বিয়া রক্ষণে আক্রমণ চালায় ব্রাজিল। ম্যাচের ৭ মিনিটেই নেইমারকে ফাউল করে বসেন সার্বিয়ান ডিফেন্ডার পাভলোভিক। যার ফলে তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ১৩ মিনিটে সার্বিয়ার ডি-বক্সে ভিনিসিয়াস জুনিয়র বল কাটাতে গেলে কর্নার পায় ব্রাজিল। নেইমারের বা দিকের দারুণ শট সার্বিয়ার গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন। তবে আবারও কর্নার কিক পায় ব্রাজিল। সেই কর্নার থেকে নেওয়া নেইমারের শট এবার সহজেই ধরে ফেলেন সার্বিয়ান গোলরক্ষক।

একের পর এক এমন আক্রমণ চালিয়েও জালের দেখা পাচ্ছিল না নেইমাররা-রাফিনহারা। ফলে শুরু থেকেই আক্রমণ করা ব্রাজিল ২৮ মিনিটেও সুযোগ পান অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার কল্যাণে। ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে মাঝ মাঠ থেকে দারুণ এক ভলিতে পাস দেন সিলভা। মাঠের বাঁ দিক দিয়ে সেই পাস দুর্দান্ত গতিতে ডি-বক্সে প্রবেশ করান ভিনিসিয়াস। তবে সার্বিয়ান গোলরক্ষক দারুণ ডাইভ দিয়ে গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন।

ফলে বার বার সার্বিয়ান ডিফেন্ডারদের সামনে গিয়ে নিজেদের ফিনিশিং রোলটা পালন করতে ব্যর্থ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডরা। ৩৩ মিনিটে নেইমারকে রুখে দেন সার্বিয়ান ডিফেন্ডার। অল্পের জন্য বড় সুযোগ নষ্ট করেন ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় এই তারকা। তার ঠিক মিনিট দুয়েক পরে রাফিনহাও একই ভুল করেন। ফলে বার বার গোলবঞ্চিত হতে থাকে হলুদ শিবির।

৪০ মিনিটে আবারও সার্বিয়াকে রক্ষা করেন তাদের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। এবার নিখুঁত ট্যাকেলে ভিনিসিয়াসকে আটকে দেন সার্বিয়ানরা। এরপর আরও কয়েকবার চেষ্টা করেও জালের দেখা না পেলে প্রথমার্ধে হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের যোদ্ধারা।

বিরতি থেকে ফিরে গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে তিতের শিষ্যরা। এদিকে, আক্রমণের বিপরীতে কোনো উপায় না পেয়ে সার্বিয়ান কোচ একাদশে দুজনকে পরিবর্তন করেন। যার সুবাদে ব্রাজিলের কাছে আক্রমণের পথ আরও সহজেই খুলে যায়।


৬৩ মিনিটে প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমর্থকদেরও উল্লাসে মাতান রিচার্লিসন। আক্রমণে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সরাসরি জালের ঠিকানা খুঁজে নেন টটেনহ্যামের এই তারকা ফুটবলার। এরপর ৭১তম মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের অ্যাসিস্ট থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রিচার্লিসন। যার সুবাদে কাতারে নিজেদের হেক্সা মিশনের প্রথম ম্যাচে দুই গোলের লিড পায় থিয়াগো সিলভার দল।

এরপরই লুকাস পাকেতা ও ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে তুলে নেন ব্রাজিল কোচ তিতে। তাদের পরিবর্তে মাঠে নামেন রদ্রিগো ও ফ্রেড। এতে ম্যাচে ব্রাজিলের আক্রমণের গতিতে কিছুটা ভাঁটা পড়ে। তবে ৮০ মিনিটে কিছুটা ইনজুরি শঙ্কায় পড়া নেইমার এবং শুরুর একাদশে দারুণ খেলা রাফিনহাকেও তুলে নেন ব্রাজিল কোচ। ফলে শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোলের দেখা পায়নি সবশেষ ২০০২ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *