এসসিওর বৈঠকে ভারতকে সাহায্যের বার্তা চীনের !

24 Hrs Tv, ওয়েব ডেস্ক : লাদাখের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও চিনা প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং। এসসিও সম্মেলনে মোদির ভাষণের পরেই ভারতের সঙ্গে সদ্ভাবের হাত বাড়িয়ে দিলেন জিনপিং। সেই সঙ্গে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জল্পনাও উসকে দিয়েছেন। অন্যদিকে সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণ দেওয়ার সময়ে মোদি বলেছেন, সদস্য দেশগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে।

২০২৩ সালের এসসিও সম্মেলন আয়োজন করবে ভারত। সেখানে ভারতকে সবরকমের সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন জিনপিং। এসসিও বৈঠক শুরু হওয়ার কিছুদিন আগেই লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত ও চিন। তারপরেই এসসিওর মঞ্চে প্রকাশ্যে ভারতের সঙ্গে সদ্ভাবের বার্তা। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতেই পারেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে পারে বলেও অনুমান। তবে সরকারিভাবে দুই দেশের তরফে বৈঠক নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

অন্যদিকে, সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেছেন, “খাদ্যসমস্যার সমাধান করার জন্য সদস্য দেশগুলির মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। একাধিক উপায়ে যোগাযোগের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।” এসসিওর সঙ্গে সহযোগিতা করার বার্তা দিয়ে মোদি বলেছেন, ভারতকে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস দেশের মাটিতেই উৎপাদন করা হচ্ছে। এসসিও দেশগুলি একে অপরের সঙ্গে আরও বেশি করে যোগাযোগ রাখুক, এমনটাই চান নরেন্দ্র মোদি।

শুক্রবার বিকেলেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মোদি। সেখানে মূলত রুশ তেল আমদানি প্রসঙ্গেই আলোচনা হতে পারে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই যৌথ বিবৃতি দিয়ে চিন ও রাশিয়া জানিয়েছিল, এককেন্দ্রিক বিশ্ব গড়ে তোলার যে প্রচেষ্টা চলছে, তার তীব্র বিরোধিতা করছে এই দুই দেশ। দরকারে দুই দেশ একসঙ্গে মিলে মহাশক্তি হিসাবে কাজ করবে। এহেন বিবৃতির পরে চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ককে কী নজরে দেখবে আমেরিকা, তা নিয়েও কৌতূহল থাকছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *