প্রকাশ্য দিবালোকে কোপ শহর কলকাতায়…

Read Time:3 Minute

24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক: উত্তর কলকাতার জমজমাট অঞ্চলে ছড়াল ব্যাপক আতঙ্ক। কলকাতার হেদুয়া অঞ্চলে ভয়াবহ ঘটনা। ভর সন্ধেয় বাড়িতে ঢুকে প্রৌঢ়াকে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। মৃত প্রৌঢ়ার নাম মীনাক্ষী ভট্টাচার্য। বয়স ৫৩ বছর। নিস্তার পায়নি মহিলার নাবালক ছেলেও। গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। বাড়ির দরজা অর্ধেক খোলা অবস্থায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাঁবড়তলা থানা এলাকার রাইবাগান স্ট্রিটে ঘটনাটি ঘটে। জমজমাট পাড়ায় এমন ঘটনায় ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পাড়ার মধ্যে সকলের চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকাবাসী।

ভর সন্ধেয় কলকাতায় এক প্রৌঢ়াকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তাঁবড়তলা থানার পুলিশ। ঘটনা, এদিন সন্ধে সাতটা নাগাদ আচমকা বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ধারালো অস্ত্র নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রৌঢ় মীনাক্ষী ও তাঁর ছেলের উপর। এলোপাথারি কোপানো হয় দুইজনকেই। ফলে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মীনাক্ষীর। রক্তাক্ত অবস্থায় আহত ব্যক্তি বাইরে বেরিয়ে আসে। আহত অবস্থায় ছুটোছুটি করতে দেখা যায় তাঁকে। বিষয়টি প্রতিবেশীর নজরে পরতেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। নিকটবর্তী নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় আহত ব্যক্তিকে। স্থানীয়দের সূত্রে খবর দেওয়া হয় পুলিশেকে।

ইতিমধ্যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশের তরফে ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। হামলাকারীদের শনাক্ত করতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। জানা যাচ্ছে, রাইবাগান স্ট্রিটের ওই দোতলা বাড়ির একতলায় থাকতেন মীনাক্ষী ভট্টাচার্যরা। জানা গিয়েছে, পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। মীনাক্ষীদেবীর স্বামী সুশান্তের একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকান রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সন্ধে সাতটা নাগাদ এই হামলার ঘটনা ঘটে। প্রৌঢ়ার স্বামী সেই সময় দোকানেই ছিলেন। এছাড়া প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, কোনও আক্রোশ বা বিবাদ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। এই ঘটনার নেপথ্যে পরিচিত কোনও যোগ থাকতে পারে বলেই অনুমান করছেন পুলিশ আধিকারীকরা। প্রকাশ্য বাড়িতে ঢুকে হামলা বা খুনের ঘটনার নজির অন্যান্য জেলায় দেখা গেলেও খাস কলকাতায় এমন ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে ঘটেনি। পুজোর আগে এমন ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে চিন্তিত স্থানীয়রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *