
প্রেমিক সুশান্তকে দোষী সাব্যস্ত আদালতের, ফাঁসির আর্জি আদালতে
24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : গত বছর ২ মে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ খুন হন মালদার বাসিন্দা কলেজ ছাত্রী সুতপা। সুশান্তর খপ্পর থেকে বাঁচাতে মেয়েকে উচ্চ মাধ্যমিকের পর মালদা থেকে বহরমপুরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সুতপার বাবা। তাও শেষরক্ষা হয়নি। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় সুতপাকে মেসের দরজার সামনে নৃশংসভাবে খুন করেছিল সুশান্ত। ওই ঘটনায় সেই রাতেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পালানোর সময় সুশান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাকা চেকিং দেখে গাড়ির নীচে লুকিয়ে পড়েছিল সে। ঘটনার ৭৫ দিনের মাথায় সুশান্তর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুন ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তদন্তে পুলিশ জানিয়েছিল,পরিকল্পনামাফিক সুতপাকে খুন করেছে সুশান্ত। সেজন্য সে মালদা থেকে বহরমপুরে এসে মেস ভাড়া করে ছিল। পালানোর রাস্তা তৈরি করতে অনলাইনে খেলনা বন্দুক কেনে সে। খুনের কয়েকদিন আগে থেকেই সুতপার ওপর নজর রাখছিল সে।
পুলিশ জানিয়েছে, সুতপার দেহে ৪২টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। শুনানি চলাকালীন এই মামলায় মোট ৩৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। পেশ করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র, সিসিটিভি ফুটেজ ও এক প্রত্যদর্শীর রেকর্ড করা ফুটেজ। বুধবারের শুনানিতে সরকার পক্ষের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট, কলকাতা হাই কোর্ট এবং উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের একাধিক রায় তুলে ধরে আসামির ফাঁসির সাজার আর্জি জানান। অন্য দিকে, সুশান্তের আইনজীবী বলেন, ”দু’জনের মধ্যে কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। পুরোটাই আবেগের বশে করেছেন আসামি। তাই তাঁর সাজা ফাঁসি নয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক। এক প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে বলেন, ”চোখের সামনে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখে চার দিন ঘুমোতে পারিনি। অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা হওয়া উচিত। যদি ফাঁসি না হয় তা হলে মেয়েটির উপর চরম অবিচার হবে।”সুশান্তর মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছে সুতপার পরিবার। বুধবার আদালত জানিয়েছে বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা হবে।