‘বিচ্ছেদ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র’ পঞ্চম স্বামী নিয়ে কি বললেন পরীমণি

Read Time:4 Minute

24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : গত বছরেই অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে পঞ্চম বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের বিতর্কিত নায়িকা পরীমণি। তাঁদের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। এর পর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। স্বামী-স্ত্রী ঝামেলা এসেছে প্রকাশ্যেও। তাঁরা আর একসাথে থাকতে চান না। আলাদা থাকতে শুরু করেছেন তাঁরা। বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন তাঁরা। যদিও তাঁদের আইনিভাবে বিচ্ছেদ হওয়া বাকি আছে। এর মধ্যেই সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন পরীমণি। পরীমণি বলেন, বিচ্ছেদ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। পরিচয়ের এক মাসের মধ্যেই ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। পরের বছর ১০ অগস্ট পুত্রসন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের জন্ম দেন পরীমণি। তবে রাজের সঙ্গে সুখের হল না অভিনেত্রী সংসার। সম্পর্ক এখন ভাঙনের পথে।

অভিনেত্রী নিজেই সংবাদমাধ্যমে জানান যে ইতোমধ্যেই তাঁদের পথ আলাদা হয়েছে। ২০ মে বাড়ি ছেড়ে চলে যান রাজ। বর্তমানে তাঁরা আলাদাই থাকেন। অভিনেত্রী বলেন, ”২০ মে নিজের জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে রাজ। এরপর থেকে সে বাসায় ফেরেনি, ফোনটাও ধরে না আর। এরপর তিনি আরও বলেন যে, সেলিম ভাই ও তার বউ তাকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় এসেছিল। সম্ভবত, এটি গত ২০ মের ঘটনা। আসার আগে সেলিম ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, আমি রাজকে সঙ্গে করে নিয়ে তোমার বাসায় আসছি। এসে বলেন, ‘রাজ তো তোমার সঙ্গে থাকতে চায় না। বিচ্ছেদের ব্যাপারে চিন্তা করতে পারো।’ আমি বললাম, ‘ও আমার সঙ্গে থাকতে চায় না, তাহলে ওই আমাকে ডিভোর্স দিক। আমি কেন দিতে যাব।”

কিন্তু যে সময় এই ঘটনাটি ঘটে, তখন তিনি কোথায় ছিলেন? রাজ জানিয়েছেন, পরী সম্পূর্ণ সত্যি কথা বলেছেন। শেষ ১০ দিন ধরে তাঁরা একসঙ্গে থাকছেন না। তিনি বলেন,”এই সময় আমি গ্রামের বাড়িতে মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলাম।” অন্য দিকে, পরীমণির বক্তব্য, তিনি আর রাজের স্ত্রী হয়ে থাকতে চান না। সংসার করার অনেক চেষ্টা করলেও তৃতীয় ব্যক্তির জন্য তিনি সংসার করতে পারছেন না। এই নিয়ে বিতর্কের আর শেষ নেই। এর আগে নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন এই নায়িকা এবারও তাই হল। পঞ্চম বিয়ে কি ভাঙবে নাকি সব ভুল বোঝাবুঝি ঠিক হয়ে আবারও শরিফুলের সঙ্গে সংসার করবেন পরীমণি? সেই উত্তর এখন সময়ের হাতে। তবে দুজনেই চাই না একে অপরের সাথে থাকতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *