আপনারও কি পছন্দ ‘পাণ্ডা’

24 Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : কোয়েল বনিক : পাণ্ডা বলতে বোঝায় সাদা-কালো রঙের এক ভাল্লুকের মতো স্তন্যপায়ী প্রাণী। বর্তমানে, পাওয়া যায় পাণ্ডা আকৃতির খেলনা। আর এই পাণ্ডা আকৃতির খেলনা কিন্তু ভালবাসে বাচ্চারা। এই পাণ্ডা বিশ্বের বিরলতম প্রাণী। পাণ্ডা দেখতে কিন্তু অনেকটা কিউতের ডিব্বা। দক্ষিণ পশ্চিম ও পশ্চিম মধ্য চিনে পাহাড়ের ঢালে বাঁশবনের দিকে এরা বসবাস করে। এদের খাবারে ৯৯ % জুড়ে থাকে বাঁশ। তবে, বাঁশে পুষ্টির পরিমান খুব কম থাকে। তাই তাদের শরীরে শক্তির চাহিদা মেটাতে ১২ -৩৮ কেজি মতো খাওয়া দরকার। পাণ্ডা কিন্তু দুই প্রজাতি ‘রেড পাণ্ডা’ ও ‘দৈত্য পাণ্ডা’। পাণ্ডা কর্ডাটা শ্রেণীর অন্তরভুক্ত এরা তৃণভোজী প্রাণী। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পাণ্ডার আকৃতি ৬০ cm বা তার বেশিও হতে পারে। এদের উচ্চতা ৪ থেকে ৫ ফুটের কাছাকাছি। অন্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের তুলনায় এরা বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরা মানুষের মত দুই পায়ে হাটতে পারে ও গাছেও উঠতে পারে। সাদা-কালো রঙের হয়। বিশেষ করে তাদের গায়ে কালো রঙের গোল দাগ এর জন্য আলাদাভাবে চেনা যায়।

পাণ্ডারা নিজেদের শনাক্ত করতে একে অপরে’র গন্ধর মাধ্যমে নিজেদের চিনতে পারে। পাণ্ডা মানে’ই কিন্তু বাঁশ। বাঁশ গাছ দিয়ে যেমন অনেক কিছু বানানো যায় ঠিক তেমন’ই এই বাঁশ গাছ পাণ্ডাদের খাবার। পাণ্ডারা বছরে একবার জন্ম দেয়। একটি পাণ্ডা একবারে ২ টি বাচ্চার জন্ম দিতে পারে। পাণ্ডার বেশ কিছু বৈশিষ্ঠ্য় রয়েছে। এরা জন্ম দেবার পর যদি কোনো বাচ্চা দুর্বল থাকে তাদের ছেড়ে দিয়ে চলে আসে। বাচ্চা পাণ্ডা জন্মের পর পুরো সাদা থাকে। ২ সপ্তাহের পর কালো গোল দাগ ওঠে। অদ্ভুত ব্যাপার পাণ্ডা জন্মের সময় প্রায় কিছুদিন অন্ধ থাকে। ২০-২৫ বছর মতন এরা বেঁচে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *