কালীঘাটের কাকুর বাড়িতে সোনার খোঁজে ইডি, বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত

Read Time:3 Minute, 52 Second

24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ‘কালীঘাটের কাকু’ অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের শ্বশুরবাড়িতে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় তল্লাশি। ইডির একটি টিম পৌঁছয় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে। এই খবর রটে যাওয়ার পর বেহালা ফকিরপাড়া লেনে রীতিমতো কানাঘুষা শুরু।কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র যেভাবে আর্থিক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন, তার ভাগীদার নাকি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা, এমনই অভিযোগ। এলাকা সূত্রে খবর ,শ্বশুরবাড়িতে তিন শ্যালক রয়েছে সুজয়ের। তারা সে রকম ভাবে কাজকর্ম করেন না। তবে তাদেরকে সুজয় বাবু ফাঁসিয়েছেন বলে অনেকেই দাবি করেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তেমন কোন কাজকর্ম করেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের প্রাক্তন কর্মী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তথা ‘কালীঘাটের কাকু’র যোগ রয়েছে এমন তিনটি সংস্থায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ ছিল, ওই সংস্থাগুলির আড়ালে কালো টাকা সাদা করার কাজ চলত। গত শনিবার দুপুরে ওই তল্লাশি চালানো হয়। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সোমবার সকালে এর মধ্যে একটি সংস্থার আধিকারিককে ডেকে পাঠাল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ওই আধিকারিকের নাম অমিতকুমার কর্মকার। তাঁকে ওই সংস্থা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডির দফতরে। শনিবার সকাল থেকে ৪ থেকে ৫ জন ইডির আধিকারিক সুজয় বাবুর শ্বশুরবাড়ি সহ, সুজয় বাবুর বাড়ি এবং সুজয় বাবুর অফিসে তল্লাশি চালানো শুরু করে। শ্বশুরবাড়ির চেহারা দেখে মনে হয় না বিত্তশালী বলে। যেহেতু ইডির রেইড চলছে, সেহেতু আশেপাশের কোনো মানুষ সেরকম ভাবে মুখ খুলতে চাইলেন না। প্রণবত্ব এবং সুব্রত কুমার বিশেষ করে এই দুজনকেই দীর্ঘক্ষন জেরা করেছিল ইডির আধিকারিকেরা।

সুজয় বাবুর, তিনজন শ্যালক মোটের ওপর বেকার বলা চলে। কেউ কোনো দোকানের সেলসম্যান, কেউ বা ছোটখাটো ভাবে প্রোমোটিং কাজের সঙ্গে যুক্ত। ইডির আধিকারিকেরা তাদের বাড়িতে বিভিন্ন কাগজপত্র ঘেঁটে কিছু নথি উদ্ধার করে। শ্বশুরবাড়ির ঘরে ঢুকতেই একটি আলমারি ছিল। সেই আলমারির চাবি না পেয়ে অবশেষে মিস্ত্রি ডেকে এনে আলমারির চাবি ভাঙায় ইডির আধিকারিকেরা। সেখান থেকে বেশ কিছু নথিপত্র এবং সেই আলমারি থেকে বেশ কিছু সোনা কেনার এবং বন্ধক রাখার কাগজপত্র উদ্ধার করে। পরে বেহালা ম্যানটনের সেই সোনার দোকানে গিয়ে কাগজগুলো পরীক্ষা করে আসে ইডির আধিকারিকরা। যদিও ইডির তরফ থেকে তেমন কিছু জানানো হয়নি এ বিষয়ে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *