ইডি’র তলব পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে, হাজিরার নির্দেশ

Read Time:4 Minute

24Hrs Tv, ওয়েব ডেস্কঃ পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল ইডি। এই মর্মে সভাধিপতির কাছে বুধবারই নোটিস এসেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত ব্যবস্থাপনার জন্য জেলার প্রধান সভাধিপতিকেই ইডি তলব করায় পুরুলিয়ায় জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগামী ১৪ নভেম্বর দিল্লিতে সুজয়বাবুকে তলব করা হয়েছে। সভাধিপতি বলেন, “আর্থিক বিষয়ে আমার কাছে যা যা জানতে চাওয়া হয়েছে তা অবশ্যই জানিয়ে দেব।” এদিকে ঝালদা পুরসভায় পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ তুলে ইডি’র তদন্ত দাবি করলেন শাসকদলেরই নেতা পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সম্পাদক তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকার।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর এই জেলায় এসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দু’দুবার কয়লা পাচার মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকে জড়িয়ে সরব হয়েছিলেন। বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকেও ইডি তলব করেছিল। সভাধিপতিকে তলব করায় এর পিছনে রাজনীতি রয়েছে বলে মনে করছে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল।
দলের জেলা সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যাতে মাঠে নেমে কাজ না করতে পারেন তাই আমাদের নেতাদের ইডি, সিবিআই দেখানো হচ্ছে। এই বিষয়গুলিকে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।” দলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “ওনাকে সতর্ক করা হবে। বারবার বলা হয়েছে কোনও অভিযোগ থাকলে দলকে জানান। এভাবে প্রকাশ্যে নয়।”
এদিন প্রদীপ কর্মকার বলেন, “গত ছ’মাসে ঝালদা পুরসভায় সুরেশ আগরওয়ালের আমলে যে সীমাহীন আর্থিক বেনিয়ম হয়েছে তাতে ইডি যথাযথ ভাবে তদন্ত করতে পারবে। পুরসভায় শুধু কাটমানির খেলা চলছে। কিছু নেতা পুরপ্রধানের সঙ্গে মান্থলিতে বাঁধা।”
তবে প্রদীপ কর্মকারের বক্তব্যের জবাবে ঝালদার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল বলেন, “পুরভোটে মানুষ যাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছেন তাঁর এই সব কথাবার্তার কোনও ভিত্তি নেই। আমিও চাই তদন্ত হোক। তবে হলে শুধু গত ছ’মাসের কেন? প্রদীপ কর্মকার যে সময় প্রশাসক ও পুরপ্রধান ছিলেন সেই সময় তিনি যে সব বেনিয়ম করেছেন তারও তদন্ত প্রয়োজন।” বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এটা তো হওয়ারই ছিল। এরপর আর কার কার ডাক আসে দেখুন। মানুষ স্বচ্ছতার সঙ্গে রাজনীতি চান। শাসক দলের রাজনীতিতে সেই স্বচ্ছতা নেই। সেটা বারেবারে প্রমাণ হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *