
করোনাভাইরাসে মুক্ত হয়েও প্রাণ গেল প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মইনুদ্দিন শামসের
করোনাভাইরাসে মুক্ত হয়েও প্রাণ গেল রাজ্যের আরও এক প্রবীণ রাজনীতিবিদের।কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন নলহাটি বিধানসভার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস ।বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।তিনি বাম জামানার মন্ত্রী খাদ্যমন্ত্রী কলিমুদ্দিন শামসের ছেলে।২০১৬ সালে নলহাটি কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।সেবারে তিনি ফরোয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দীপক চট্টোপাধ্যায়কে ১০ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দেন।
তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয়নি দল।এতেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে প্রাক্তন বিধায়কের।তিনি যে ফরোওয়ার্ড ব্লকে আগে ছিলেন তিনি আবারও সেই ফরওয়ার্ড ব্লকে ফিরে যাওয়ার জন্য চিঠি লেখেন। কিন্তু ফরওয়ার্ড ব্লক ওনাকে আর দলে নেয়নি।আর তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এই রাজনীতিবিদ।তিনি নির্দল হয়ে হেরে যান একুশের বিধানসভায়।আর ভোট মিটতে না মিটতেই মারণ ভাইরাসের থাবায় প্রাণ খোয়ালেন তিনি।
করোনা পজিটিভ হয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি ।১৯ মে তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।করোনামুক্ত হয়ে বাড়িতেও ফিরে যান।শুক্রবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ভর্তি করা হয় উডল্যান্ডস হাসপাতালে।কিন্তু আচমকাই সকাল বেলায় ওনার মৃত্যু হয়।প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত,কিছুদিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছিল নদিয়ার অন্যতম প্রবীণ রাজনীতিবিদ, তেহট্টের বিদায়ী বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্তের। করোনা আক্রান্ত হয়ে জীবন যুদ্ধ হার মানেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার বর্তমান পুর প্রশাসক অজয় দে।ভোট চলাকালীনই করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তৃণমূলের খড়দহের বিধায়ক কাজল সিনহা। সব মিলিয়ে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে।