গীতাঞ্জলি ক্লাবের শিক্ষক দিবস উজ্জাপন

গীতাঞ্জলি ক্লাবের তরফ থেকে মসিদহাট বি এম হই স্কুলের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্নানিত করা হয়,সঙ্গে পুষ্পস্তবক দিয়ে মাননীয়-মাননীয়া শিক্ষক-শিক্ষিকা দের সম্মানিত করা হয়। এই সন্মান যেনো শিক্ষক-শিক্ষিকা সম্পর্ককে আরও আপ্লুতো করে তোলে। তাই বলাই বাহুল্য রাখে যে ,গীতাঞ্জলি ক্লাবের এই উদ্যোগ-কে আমরা কুর্নিশ জানাই।

একজন শিক্ষার্থীর জীবনে শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষকরা জাতির ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাদের জ্ঞানের আলোতেই একজন আদর্শ নাগরিকের জন্ম হয়। আমরা জীবনের যে পর্যায়েই থাকি না কেন, একজন প্রকৃত শিক্ষকের প্রয়োজন আমাদের সবসময় থাকে। আমাদের সাফল্যের পেছনে তাদের বড় অবদান রয়েছে। জীবন ও সমাজে শিক্ষকদের এই অমূল্য অবদানকে সম্মান জানাতে প্রতি বছর ৫ই সেপ্টেম্বর ড. সর্বপ্ললী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনে ভারতে শিক্ষক দিবস পালিত হয়।

ভারতে শিক্ষক দিবস বা টিচার্স ডে প্রতি বছর ৫ই সেপ্টেম্বর অত্যন্ত উৎসাহের সাথে পালিত হয়। ড. সর্বপ্ললী রাধাকৃষ্ণন ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে এবং ১৯৬২-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশের সেবা করেছিলেন। এই দিনটি সমাজে শিক্ষকদের গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। জ্ঞান, তথ্য এবং সমৃদ্ধির প্রকৃত ধারক শিক্ষকরাই আমাদের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তাদের অবদান ছাড়া এক আদর্শ সমাজের কল্পনা করা অসম্ভব। তাই শিক্ষক দিবসের দিন দেশের সমস্ত স্কুল ও কলেজে শিক্ষাথীরা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিক্ষকদের প্রতি সন্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকারাও এইসব কর্মসূচিতে পূর্ণ উৎসাহ নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।৫ই সেপ্টেম্বর ড. সর্বপ্ললী রাধাকৃষ্ণনের জন্মবার্ষিকী। তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন। । ড. সর্বপ্ললী রাধাকৃষ্ণন শিক্ষকদের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি নিজে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করতেন। একজন আদর্শ শিক্ষক হিসাবে তিনি তাঁর দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতেন এবং সবসময় তার ছাত্রদের সঠিক শিক্ষা দিতে চেষ্টা করতেন। তাই ছাত্রদের কাছে তিনি খুবই প্রিয় শিক্ষক ছিলেন। তিনি মনে করতেন, একমাত্র শিক্ষকরাই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করে আদর্শ নাগরিক বানাতে পারে।
একজন আদর্শ শিক্ষক সবসময় তার ছাত্রদের স্বার্থ বিবেচনা করে তাদের কাজের দক্ষতা উন্নত করতে উৎসাহিত করে। ছাত্রের ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাস এবং দক্ষতার স্তরকে উন্নত করতে শিক্ষকের যথেষ্ট ভূমিকা থাকে। তারা ভবিষ্যত প্রজন্মকে যেকোনো অসুবিধা এবং সমস্যার মুখোমুখি হতে পারার জন্য সক্ষম করে তোলে। এজন্য এই দিনটি শুধুমাত্র শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য নিবেদিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *