তিহাড় জেলেই জেলবন্দী কেষ্ট,শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন তিনি

Read Time:3 Minute, 22 Second

24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : ফের অসুস্থ তিহাড় জেল বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তাঁকে জেলের ডাক্তারখানায় ভর্তি করল তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। গোরু পাচার মামলায় দিল্লির সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন বীরভূম তৃণমূলের নেতা। তিহাড় জেল সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই হাঁপানির সমস্যায় ভুগছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। গতকাল থেকে তাঁর অসুস্থতা বাড়ছিল। সোমবার সকাল মারাত্মক শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাঁকে জেলের ডাক্তারখানায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এর আগেও অসুস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আগে এক বার অনুব্রত জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট তা খারিজ করে দেওয়ায় দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। আগামী ১ জুন সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার যুক্তি দেখিয়ে ফের রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিনের আর্জি জানাতে চান অনুব্রত। একই সঙ্গে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও জামিনের চেষ্টা করছেন বলে সূত্রের খবর।

বাবা ও মেয়ে একই জেলে থাকলেও গত ৬ মে-র পরে তাঁদের আর দেখা হয়নি। সাধারণত শনিবার বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়। কিন্তু সূত্রের খবর গত শনিবার বাবার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি বলে তাঁর আইনজীবী অমিত কুমারকে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এই তিহাড় জেলেই বন্দিদশায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারি। জেল হেফাজতে পাঠানোর সময় অনুব্রতর স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই মতো প্রায় প্রতিদিনই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছিল। উল্লেখ্য, তিহাড় জেলের ৭ নম্বর জেলে বন্দি ছিলেন বীরভূমের কেষ্ট।

অন্যদিকে আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন অনুব্রত। চলতি সপ্তাহে সেই আবেদনের শুনানি হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ আসানসোল জেল থেকেই তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অনুব্রত এই শারীরিক অসুস্থতাকে হাতিয়ার করে ফের জামিনের আর্জির পরিকল্পনা করছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *