
24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে বলা হয় ‘নীরব ঘাতক’। কারণ, অনেকের ক্ষেত্রে এই রোগ খুব সহজে ধরা পড়ে না। আবার ধরা পড়ার পর সঠিক চিকিৎসা না হলে বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তা অনেক জটিলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটা শুধু বয়স্ক মানুষই নন, যেকোনো বয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা দেখা যায়। সাধারণত বেশি ওজন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাসের ঘাটতির কারণে এমনটা হয়ে থাকে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় চিকিৎসকের নির্দেশিত ওষুধ নিয়মিত সেবনের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। তাই বলে খাদ্যাভ্যাসে যে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে, তা কিন্তু নয়। ছোট কিছু পরিবর্তনেই উচ্চ রক্তচাপের প্রভাব থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
প্রতিদিন তাজা ফল যেমন লেবু, জাম্বুরা, পেয়ারা, আমলকী, আপেল, কমলা, মাল্টা, ডালিম, কলা, নাশপাতি, পেঁপে ইত্যাদি খেতে হবে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকতে হবে সবুজ শাকসবজি যেমন পালংশাক, মুলাশাক, পাটশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, শসা, মুলা, লাউ, মটরশুঁটি, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, কুমড়ো সবুজ শাকসবজি প্রচুর কলমিশাক, পরিমানে খেতে হবে। ডিমের কুসুম, লাল মাংস ইত্যাদি কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চাটনি, ভর্তা ও আচারে প্রচুর তেল ও লবণ ব্যবহার করা হয়, যা উচ্চ রক্তচাপের রোগীর জন্য খুবই ক্ষতিকর। এগুলো এড়াতে হবে। শুধু তাই নয় বেশি করে জল খেতে হবে।
যে খাবার গুলো একদমই খাওয়া উচিত নয় সেগুলি থেকে বিরত থাকাই ভাল। যেমন মিষ্টি পানীয় ওজন ও রক্তচাপ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যারা মিষ্টি পানীয় পান করেন তারা অনেক বেশি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিতে থাকেন। সসে অনেক বেশি লবণজাতীয় মসলা ব্যবহার করা হয়। এক চামচ সসে ১৯০ গ্রাম পর্যন্ত সোডিয়াম থাকতে পারে। এটি যখন তেলে ভাজা খাবারের সঙ্গে খাওয়া হয় তখন লবণ গ্রহণের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। তাই সস এড়িয়ে চলতে হবে।এছাড়াও বোতলজাত মিনারেল ওয়াটারে প্রতি লিটারে ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত সোডিয়াম থাকতে পারে যা উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত।