পাশে আছি বাঁকুড়া।এই কথার প্রমাণ দিলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Read Time:3 Minute

সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মাধ্যমে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।বাঁকুড়ায় তৃণমূলের হয়ে লড়েছেন তিনি।কিন্তু তিনি হেরে যান গেরুয়া শিবিরের কাছে।লকডাউনের সময় ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন টলিউডের অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা।

কলকাতা থেকে দুশো কিলোমিটার দূরে গিয়ে ভোটের প্রচার চালিয়েছেন নায়িকা। তিনি ভোটে হেরে গিয়ে বলেছিলেন,’আমি হেরে গেলেও আমার প্রতিশ্রুতি বদলে যায়নি, আমি সুখে না থাকতে পারি, বাঁঁকুড়ার মানুষের দুঃখে থাকবই’। তিনি বলেছিলেন পাশে আছি বাঁকুড়া।অল্পের জন্য নির্বাচনী লড়াইয়ে হারলেও তাঁর আশ্বাস যে শুধু মুখের কথা ছিল না তা প্রমাণ করে দিচ্ছেন এই টলি নায়িকা।রবিবার দিন,ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন সায়ন্তিকা। প্রথমে নিজেই সকলের হাত স্যানিটাইজ করিয়ে দিলেন, এরপর মাস্ক দিলেন। ফুড প্যাকেট বিতরণ করলেন অভিনেতা।নিজেই তাঁদের হাতে তুলে দিলেন খাবার।১২ জনকে নিয়ে একটি দলও তৈরি করেছেন।

এর আগে চালু করেছিলেন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা।দুয়ারে দুয়ারে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা তৈরি করেছেন।চালু করেছেন হেল্পলাইন নম্বর। হেল্প লাইন ফোন নম্বরে ফোন করলেই রোগীর দুয়ারে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন।
করোনার জেরে বন্ধ কোনও স্কুলে অন্তত ২০-২৫ শয্যার একটি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সায়ন্তিকার।

এছাড়াও তিনি বাঁকুড়ার আচুলি অঞ্চলের বাদুলারা গ্রামের করোনা আক্রান্ত ২১টি পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁদের অসুস্থতার খবর পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে পৌঁছে দিয়েছিলেন চাল, ডাল, মুড়ি, মশলার মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য। আক্রান্তদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় কিছু ওষুধের বন্দোবস্তও করেছেন অভিনেত্রী।

তিনি কিছুটা আক্ষেপের সুরে বলেছেন,‘এখন নির্বাচন হলে হয়ত আমাকে জেতানোর জন্য মানুষের কাছে অনুরোধটুকুও আর করতে হত না, এমনই মানুষ ভোট দিত’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *