
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে চলছে অপসংস্কৃতি !
২৪ আওয়ার্স টিভি, ওয়েব ডেস্ক : স্কুলগুলি যে চাঁদা তুলছে এই বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা ইতিমধ্যে বেরিয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে কিভাবে অপসংস্কৃতি চলছে তা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। স্কুল গুলি তাদের পূর্তি উৎসবে চাঁদা তুলছে এবং রাজনৈতিকভাবে প্রচার ও পরিচালনা হচ্ছে, আর আবারো সেটারও প্রমাণ হাতে নাতে পাওয়া গেল। আমাদের হাতে এসেছে সেই অনুষ্ঠান সূচির কপি।
হুগলী জেলার গোঘাট এক নম্বর ব্লকের ভাদুর অঞ্চলের গোবিন্দপুর গ্রামের গোবিন্দপুর রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জয়ন্তী উৎসবের অনুষ্ঠান সূচি ছাপানো হয়েছে, আসছেন রামকৃষ্ণ মঠের মহারাজ, সেখানে নাম আছে বর্তমান শাসক দলের সমস্ত পঞ্চায়েত স্তরের থেকে শুরু করে জেলা ও রাজ্যস্তরের জনপ্রতিনিধিরা এবং প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ অফিসাররা। এত নাম উল্লেখ থাকলেও উল্লেখ নেই বিদ্যালয়েরই প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তথা আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ শক্তিমোহন মালিকের নাম এছাড়াও গোঘাট বিধানসভার বর্তমান বিধায়কেরও নামও নেই।
গোঘাটের যতগুলি বিদ্যালয়ে পূর্তি উৎসব পালন হয়েছে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে এমনকি বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ জানানো হয়না গোঘাটের বর্তমান বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারকে। উঠছে প্রশ্ন কেন এই বিভাজন? বিদ্যালয় তো সকলের তাই বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান সকলকে আমন্ত্রণ জানানো ও নিরপেক্ষভাবে হওয়া উচিত। বিদ্যালয়টির নতুন বিল্ডিং সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক স্বীকৃতি, স্কুলে নতুনভাবে ল্যাবরেটরি, লাইবেরি, শৌচাগার,সাংসদ তহবিলের দু দুবার মোটা অংকের অর্থ সাহায্য এ সবই অবদান প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তথা আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ শক্তিমোহন মালিকের। উক্ত অনুষ্ঠান সূচি ছাপানোর ঘটনায় এলাকার একাংশের, প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের, শিক্ষক মহলের ও সমাজে উঠেছে নিন্দার ঝড়।