
ভারত এখন চাঁদে, ‘প্রজ্ঞান’ খুঁজবে চাঁদের সম্পদ
24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : গত ১৪ জুলাই ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হয়। চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডারের নাম ‘বিক্রম’রোভারের নাম ‘প্রজ্ঞান’। ল্যান্ডারটি উচ্চতায় ২ মিটারের মতো, ওজন ১ হাজার ৭০০ কেজির বেশি। আকারে ছোট রোভারের ওজন ২৬ কেজি মাত্র। এই রোভারই চাঁদের বুকে ঘুরে ঘুরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে। আর কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। নতুন ইতিহাস গড়লো ভারত। রহস্যে ঘেরা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি স্পর্শ করলো দেশটির চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার। প্রথম কোনো দেশ হিসেবে চাঁদের ওই অংশে নামে চন্দ্রযান-৩। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের ওই অংশে নামে চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার। সমপ্রতি চন্দ্রাভিযানে গিয়ে রাশিয়ার লুনা-২৫ ভেঙে পড়েছে। কিন্তু ইতিহাস গড়ল ভারতের চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রলোকে ভারতের তৃতীয় অভিযানের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুই ‘হাতিয়ার’। এই দুই হাতিয়ারের সাহায্যেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অজানা তথ্য চলে আসবে ইসরোর হাতে।

ল্যান্ডার বিক্রমের মোট ওজন ১৭৪৯.৮৬। যার পেটের মধ্যে ছিল রোভার প্রজ্ঞান। প্রজ্ঞানের ওজন ২৬ কেজি। চাঁদে অবতরণের পর পরই কাজ শুরু করবে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকা এই চারটি পেলোড। এই পেলোডগুলির সাহায্যেই চাঁদে বাজিমাত করবে চন্দ্রযান। এই পেলোডগুলিই চাঁদের ‘অজানা রহস্য’ খুলে দেবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সামনে। অন্য দিকে, একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি নিয়ে চাঁদে নামছে রোভার। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে চাঁদের ভূমিরূপ কী ভাবে তৈরি হয়েছে, কোন কোন উপাদান দিয়ে চাঁদের মাটি তৈরি, তা খতিয়ে দেখে বার্তা পাঠাবে প্রজ্ঞান। আগামী দু’সপ্তাহ ধরে স্পেকট্রোমিটার বিশ্লেষণের মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে কোন ধরনের খনিজ বস্তু আছে, তা খুঁটিয়ে দেখবে সে। এই সমস্ত পরীক্ষাগুলি করার জন্য ল্যান্ডার এবং রোভারের সঙ্গে রয়েছে পাঁচটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি।