
দিল্লির পরিবর্তে পুলিশ হেফাজতে কেষ্ট !
২৪ আওয়ার্স টিভি, ওয়েব ডেস্ক : আপাতত দিল্লিতে যাওয়া স্থগিত অনুব্রত মণ্ডলের । এবার অনুব্রত মণ্ডলকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দুবরাজপুরের আদালত । সূত্রের খবর , দুবরাজপুরের তৃণমূল নেতা শিবঠাকুর মণ্ডলকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে । তিনি অভিযোগে জানান , তাঁকে তৃণমূল পার্টি অফিসে গলা টিপে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয় । কারণ তিনি অন্য দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন । এছাড়াও শিবঠাকুর ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগের ঘটনায় সোমবার দুবরাজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান । আর এই দিনই দিল্লির বিশেষ আদালত যখন স্পষ্ট করে দেয় যে , গরু পাচার মামলায় তদন্তের স্বার্থে দিল্লি যেতে হবে অনুব্রতকে। ঘটনাচক্রে ঠিক তার পরেরদিনই অনুব্রতর বিরুদ্ধে শিবঠাকুরের এই অভিযোগ নয়া মোড় নেয় । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অনুব্রত মঙ্গলবার গ্রেফতার হন। আদালতে তোলা হলে তাঁকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য , শিবঠাকুর বালিগুড়ি পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রথম পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন । সূত্রের খবর ,‘কেষ্টদা’ই তাঁকে পঞ্চায়েত থেকে সরে যেতে বলেন বলে । এমনটাই দাবি করেছেন শিবঠাকুর । যদিও তিনি প্রধান পদ থেকে সরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তা কখনই মেনে নিতে পারেননি । সূত্রের খবর ,তিনি জানান , “ভগবানকে সেসময় সবটা বলতাম । হনুমানজিকে জানাতাম । ঠাকুরের আর্শীবাদে আমি আবার পঞ্চায়েতের প্রধান হিসাবেই ফিরে আসি।”যদিও তিনি প্রধান হিসাবেই পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করেন। পরে ওই আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যায়। এই জন্য তিনি দলের কাছ থেকে পাঁচটা টিকিট চেয়েছিলেন । কিন্তু তাঁকে দল দুটো টিকিট দিতে চেয়েছিল। যদিও তিনি দুটো টিকিট নেননি।
সূত্রের খবর , শিবঠাকুর জানান ,তখন থেকেই তিনি দল করবেন কিনা, এই নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন । বিধানসভা নির্বাচনে তিনি অন্যদলে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অবশ্য সেই বিষয়টা ‘কেষ্টদা’ জেনে গিয়েছিলেন বলে জানান । তিনি বলেন, “অভিযোগটা অত্যন্ত বড়। আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিল দুবরাজপুরের পার্টি অফিসে। আমাকে বলে দল কেন ছাড়বি? দলের কাছ থেকে আমি কী পেয়েছি, বঞ্চনা ছাড়া, আমি এটাই বলেছিলাম। বলেছিলাম, আপনি(অনুব্রত) বললে আমি বসে যাচ্ছি, কোনও দলেই যাব না। এই কথাটা শুনে রেগে আমার গলা চেপে ধরেন। প্রাণে মারার চেষ্টা করেন।”
উল্লেখ্য বীরভূমের তৃণমূল নেতা তথা আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “শিবঠাকুর মণ্ডল দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আসানসোল থেকে সেই মামলার পরই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট চাওয়া হয়েছিল । দুবরাজপুর কোর্টে আজই তোলা হয় তাঁকে । বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত দেন।” যদিও জামিনের আবেদন করেনি অনুব্রতের আইনজীবী ।