
দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন ঝাড়খন্ডের মহিলা!
২৪ আওয়ার্স টিভি, ওয়েব ডেস্ক : বুধবার ভোর ৬ টা নাগাদ জাতীয় সড়কের উপর দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা এক মহিলা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার বাগনান এলাকার মহিষরেখা সেতুর কাছে। সূত্রের খবর ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন কুমার দম্পতি। সঙ্গে ছিল তাদের আড়াই বছরের শিশু কন্যা। বাগনানের মহিষরেখা সেতুর সামনে জাতীয় সড়কের একপাশে গাড়ি থামিয়ে শৌচকর্ম সারতে বেরিয়েছিলেন প্রকাশ কুমার। হঠাৎ সেখানে ওই দম্পতির উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীর দল। গাড়িতে থাকা মহিলাকে তার শিশুকন্যার সামনে গুলি করে খুন করা হয় বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ছিনতাই করতে বাধা দেওয়ায় সময় গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় মৃত ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা রিয়া কুমারী। এই গাড়িতে চেপেই ফিরছিলেন আক্রান্ত দম্পতি। হাওড়ার বাগনানে শিশুকন্যার সামনেই গাড়ির মধ্যেই মাকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম রিয়া কুমারী। পুলিশ জানিয়েছে, আড়াই বছরের মেয়ে এবং স্ত্রী রিয়াকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় আসছিলেন প্রকাশ কুমার। সেই সময়ই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।পুলিশকে দেওয়া বয়ানে প্রকাশ জানান, মহিষরেখা সেতুর কাছে গাড়ি থামান তারা। শৌচকর্ম সারতে গাড়ি থেকে নামেন তিনি। সেই সময়ই আচমকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে চড়াও হয় তিনজন দুষ্কৃতীর দল। ছিনতাইয়ে বাধা দেন রিয়া। এরপরই খুব কাছ থেকে রিয়াকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রিয়ার কানের পাশে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ঘটনাস্থলেই মারা যান রিয়া। এর পরই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীর দল।
প্রকাশের দাবি এই হামলার পর ওই এলাকায় কারও থেকে কোনো সাহায্য পাননি তিনি। কাউকে না দেখতে ওই অবস্থাতেই গাড়ি চালিয়ে রাজাপুর থানার পীরতলায় চলে আসেন তিনি। একটি চায়ের দোকানের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেখানে স্থানীয়দের সবকিছু জানান। এর পর এলাকার স্থানীয়দের সাহায্যে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পাশাপাশি রিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
ঘটনার কথা জানতে পেরে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালেই আসে পুলিশ। সেখান থেকে তারা রিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। গোটা ঘটনা কী ভাবে ঘটল, কারা এর নেপথ্যে রয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত করতে শুরু করেছে পুলিশ। মৃতা রিয়ার স্বামী প্রকাশকে থানায় নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিয়াকে খুনের নেপথ্যে শুধুমাত্র ছিনতাইয়ে উদ্দেশ্য ছিল এটা মানতে নারাজ তদন্তকারী অধিকারিকদের। জাতীয় সড়কের পাশে গাড়ি থামানো থেকে শুরু করে গাড়ি থেকে প্রকাশের নেমে যাওয়া নিয়ে যথেষ্ট ধ্বন্দের মধ্যে রয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পড়ে গোটা ঘটনাটি সাজানো বলেও মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাই সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। গোটা ঘটনায় একমাত্র সাক্ষী প্রকাশকেও যথাযথভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা অতি অবশ্যক বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা। যদিও ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।