
‘যদি কোন পুলিশ পদক্ষেপ করে তবে তাঁর বিরুদ্ধে আমি পদক্ষেপ নেব’ কাঁথি পুরসভা দুর্নীতি মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের
24Hrs TV ওয়েব ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গ্রেফতার হয়েছেন বহু মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ আধিকারিক থেকে স্বয়ং মন্ত্রী। এবার কাঁথি পুরসভা গ্রীন সিটি মিশনের দুর্নীতির তদন্ত করতে নেমেছে রাজ্য় পুলিশ। আর তাতেই রাজ্য় পুলিশ। মেচাদা-দিঘা বাইপাসে বাতিস্তম্ভ লাগানোয় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সাক্ষী হিসাবে নোটিস পাঠানো হয় কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর বড় ছেলে কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে। এই একই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে শিশিরের আর এক ছেলে তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রী সুতপা অধিকারীকেও নোটিস দিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দু। আর এইবার রাজ্য় পুলিশকেই চরম ভৎর্সনার মুখে পড়তে হয়েছে।
বুধবার এই মামলা আদালতের এজলাসে উঠলে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সমালোচনার শিকার হয় রাজ্য় পুলিশ। এমনকি এগরার এসডিপিওকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। পুলিশের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ”উর্দিতে যে অশোকস্তম্ভ রয়েছে, তার সম্মানরক্ষা করেননি এসডিপিও। দাসের মতো কাজ করেছে পুলিশ।” তিনি আরও বলেন যে, আদালতের নির্দেশ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মামলায় কৃষ্ণেন্দু’কে আর কোনও নোটিস পাঠাতে পারবে না পুলিশ। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ”যদি পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে, তার বিরুদ্ধে আমি পদক্ষেপ করব।”
একটা সময় তৃণমূলের ছায়াসঙ্গি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে তিনি বিজেপিতে যোগদান করলে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। যদিও বিজেপির অভিযোগ, তার পর থেকেই অধিকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলা করা হয়। তেমনই একটি অভিযোগ, এই ‘গ্রিন সিটি মিশন’ প্রকল্পের দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্ত। অভিযোগ উঠেছিল ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন হাই মাস্ট বাতিস্তম্ভ, বাতিস্তম্ভের সৌন্দর্যায়ন এবং প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য সৌন্দর্যায়নের কাজে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। আর তাঁরই তদন্ত করতে নেমেছে রাজ্য় পুলিশ। এইবার আদালতের ক্ষোভের মুখে রাজ্য় পুলিশ।