
‘জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা প্রত্যেকের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ’ সমলিঙ্গ নিয়ে বার্তা বিচারপতির
24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : সমকামী সম্পর্ক আমাদের সমাজে বেশিরভাগই মেনে নিতে পারে না। গ্রাম হোক বা শহরে সমাজের মানুষজন যেন বাঁকা চোখে দেখে। কেন্দ্রের পাশাপাশি, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রাজস্থান সরকার সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি বৈধতার দাবির বিরোধিতা করেছে। কেন্দ্রের তরফে সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতির বিরোধিতা করে জানানো হয়, এটা নেহাতই ‘শহুরে অভিজাত সমাজের ভাবনা’। তবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় গোড়া থেকেই কেন্দ্রের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। কখনও বলেছেন, ”সমকামিতা যে কেবল শহুরে বিষয়, এমন কোনও পরিসংখ্যান নেই সরকারের কাছে।” কখনও বলেছেন, ”সমকামী সম্পর্কগুলি কেবল শারীরিক নয়, মানসিক, স্থিতিশীল সম্পর্কও। আবার কখনও তাঁর মন্তব্য, ”নারী-পুরুষের সংজ্ঞা শুধু মাত্র জননাঙ্গের উপর নির্ভর করে না।” এমনকি, সমলিঙ্গে বিয়ে আইনি স্বীকৃতি না পেলে সমকামী দম্পতির সামাজিক পরিচয় কী হবে, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। তবে সমলিঙ্গ সম্পর্ক নিয়ে অনেকেই সমর্থন করেন, আবার অনেকেই মেনে নিতে পারেন না।

আমাদের সমাজে যেন এক বিরলতম কান্ড। সত্য়ি কি আমাদের সম্পর্ক লিঙ্গ ভেদাভেদের ভিত্তিতে গড়ে ওঠবে ? এই প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। সমলিঙ্গে বিয়ের আবেদনে টানা ১০ দিনের শুনানির শেষে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ১১ মে রায় সংরক্ষিত রেখেছিল। মঙ্গলবার সেই রায় ঘোষিত হচ্ছে। এও প্রশ্নও উঠছে আইনি স্বীকৃতি পেলেও আমাদের সমাজ মেনে নিতে পারবে ?