
প্রয়াণ দিবসে কিশোর কুমারকে সুরে সুরেই স্বরণ কলকাতা পুলিশের
পায়েল মুখার্জী: 24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক: ১৯৮৭ সালে ১৩ অক্টোবর মারা যান ভারতের এই কিংবদন্তি গায়ক। তবে গায়ক হিসেবে চেনার আগে অভিনতা হিসেবেই দর্শক মহলে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। ‘বিস্ময়’ শব্দটা তাঁর জীবনেরই সমার্থক। এক সাক্ষাৎকারে আরেক প্রবাদপ্রতিম শিল্পী লতা মঙ্গেশকরকে গায়ক বলেছিলেন,গান গাওয়াতেই তাঁর আনন্দ। অথচ দাদার ইচ্ছে মতো তাঁর কেরিয়ার শুরু হয় অভিনয় দিয়ে। কাজেই অভিনয়ের জন্য নিজের পরিচর্যা করতে বিরক্তই হতেন তিনি। ছোটো থেকে ঈশ্বরের মতো মানতেন সঙ্গীতশিল্পী কে এল সায়গলকে। তাঁর ছবিতে প্রণাম করেই শুরু হত তাঁর দিন। পাশাপাশি পাকিস্তানি শিল্পী আহমেদ রুশদির প্রভাবও ছিল তাঁর ওপর।

জন্মসূত্রে আভাস, কর্মসূত্রে কিশোর। হ্যঁ, ঠিকই ধরেছেন। কথা হচ্ছে, প্রয়াত গায়ক ও অভিনেতা কিশোর কুমারকে নিয়ে। ইন্ডাস্ট্রিতে রাজেশ খন্না, জিতেন্দ্র, দেব আনন্দ, অমিতাভ বচ্চনের কণ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। সলিল চৌধুরীর সঙ্গীত পরিচালনায় ‘হাফ টিকিট’ ছবিতে নারী ও পুরুষ, দ্বৈত ভূমিকার কণ্ঠে তাঁর গান বাজিমাত করে এখনও। আদ্যপান্ত প্রাণখোলা মানুষ ছিলেন কিশোর। খামখেয়ালি আচরণ ছিল তাঁর। আইকনিক গায়ক এবং অভিনেতা তাঁর গাওয়া বেশ কয়েকটি হিট গান এবং অসংখ্য স্মরণীয় ছবিতে অভিনয়ের জন্য আভাসকুমার গঙ্গোপাধ্যায় থেকে তিনি হয়ে গেলেন কিশোর কুমার। আজ অর্থাৎ ১৩ অক্টোবর তাঁর ৩৬ তম প্রয়াণ দিবস। তাই ৮ থেকে ৮০ যাঁর মায়াজালে আচ্ছন্ন, সেই অমর শিল্পীকে সুরে সুরেই স্বরণ করল কলকাতা পুলিশ। তাঁদের পারফরম্যান্সের ভিডিয়োই এখন ভাইরাল হল দর্শক মহলে।

১৯২৯ সালের ৪ অগস্ট জন্মগ্রহণ করেন কিশোর কুমার। কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমারের চার স্ত্রী ছিলেন- রুমা গুহ ঠাকুরতা, মধুবালা, যোগিতাবালি এবং লীনা চান্দাভাকর। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৮ পর্যন্ত বিবাহবন্ধবে আবদ্ধ ছিলেন তাঁরা। ১৯৫২ সালে জন্ম হয় কিশোর কুমারের প্রথম স্ত্রী এবং বাঙালি গায়িকা-অভিনেত্রী রুমার একমাত্র ছেলে অমিত কুমারের। ২০০২ সালের পুরনো এক সাক্ষাৎকারে কিশোর-পুত্র অমিত জানিয়েছিলেন যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৮ বছর বয়সে মারা যান কিশোর। একই সাক্ষাৎকারে, অমিত স্মরণ করেন যে কিশোর কুমার মৃত্যুর আগে যখন হৃদরোগে আক্রান্ত হন, সে বিষয়টা নিয়ে আগে থেকেই মজা করেছিলেন তিনি। অনেকেই হয়তো জানেন না, প্রথাগত তালিম ছাড়াই অভিনেতা-গায়ক কিশোর হয়ে উঠেছিলেন বলিউডের অন্যতম প্রতিষ্ঠান।