
অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ৫০ কোটি টাকার মধ্যে ছিল কুন্তলের টাকা !
২৪ আওয়ার্স টিভি, ওয়েব ডেস্ক : ফের বাড়ল জেল হেফাজত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের। আবারও ১৪ দিনের জেল হেফাজত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের । ১৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত জেল হেফাজত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের । গতকাল ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছিলো কুন্তল ঘোষের । তাকে গতকাল নগর দায়রা আদালতে তোলা হয় । আর তার আগেই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন কুন্তল।’বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন তাপস মণ্ডল ‘, এমনটাই দাবি করেন ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের । এছাড়াও তিনি বললেন, ‘আদালতে সব জানাব।’
উল্লেখ্য , ইডির জেরায় কুন্তল ঘোষের মুখ থেকে নাম উঠে এসেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের । গতকাল নগর দায়রা আদালতে তাঁকে পেশ করেছিল ইডি। এছাড়াও গত ১৪ দিনে কুন্তলকে জেরা করার পাশাপাশি গোপাল দলপতিরও তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদে যে নতুন তথ্য উঠে এসেছে, তা নিয়েও আদালতে রিপোর্ট পেশ করবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
অন্যদিকে গত জানুয়ারিতেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। পরে তাঁর বাড়ি থেকে ২০২২ সালে ডিসেম্বরে ২৫০ টি ওএমআর শিট বাজেয়াপ্ত করে ইডি। সূত্রের খবর, আরটিআই-এর মাধ্যমে এই ওএমআর শিট পান কুন্তল। ইডি সূত্রে খবর, জেরার মুখে এমনই দাবি করেন কুন্তল ঘোষ। কেন আরটিআই করেছিলেন, তার কোনও জবাব দেননি কুন্তল। সূত্রের খবর , আরটিআই করার কোনও প্রমাণও দেখাতে পারেননি কুন্তল । এদিকে, কুন্তল ঘোষের বাড়িতে টেটের ওএমআর শিট মেলায় বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘কিছু দুষ্কৃতী রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে। কী করে কুন্তলের কাছে গেল ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড ?’ প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ে।
অন্যদিকে এই তদন্তেই খোঁজ মেলে গোপাল দলপতির। যদিও গোপাল দলপতি ইডি দফতরে নিজেই ফোন করেন । তিনি দুপুর নাগাদ নিজেই ফোন করেন ইডি দফতরে। ফোন করে নিজের বয়ান রেকর্ড করাতে চান বলে জানিয়েছিলেন গোপাল দলপতি। এছাড়াও তিনি জানান, যে তিনি কলকাতাতেই আছেন। কুন্তল ঘোষের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন গোপাল দলপতি। পরে দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন একাধিকবার কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন কুন্তল ও গোপাল। কুন্তল ১৫ কোটি টাকা দেওয়ার দাবি করলেও, তা অস্বীকার করেন গোপাল, এমনটাই ইডি সূত্রের দাবি।
ইডির দাবি ঘিরে তোলপাড় আদালত । কোটি কোটি টাকা অন্যত্র পাঠানো হয়েছে এমনটাই দাবি ইডির । পার্থের ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাটে ও ছিল কুন্তলের টাকা । উল্লেখ্য অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিলো , সেখানও ছিল কুন্তলের টাকা এমনটাই ইডি সূত্র খবর । ১৩০ জন প্রার্থীর থেকে ৮ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে । কুন্তলের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬ কোটি টাকা হদিশ মিলেছে । বেআইনিভাবে টাকার লেনদেনের অভিযোগ করেছে ইডি ।