
জমে উঠেছে সাহিত্য উৎসব ও লিটল ম্যাগাজিন মেলা
২৪ আওয়ার্স টিভি, সৌরভ দত্ত : বাংলা একাডেমির এই সাহিত্য উৎসবে কোনও সঙ্কীর্ণতা নেই । কুক্ষিগত করে রাখার মানসিকতা নেই। বুধবার শুরু হল বাংলা ভাষার বৃহত্তম সাহিত্য পার্বণ, সাহিত্য উৎসব ও লিটল ম্যাগাজিন মেলার। ঝলমলে উদ্বোধন হল রবীন্দ্রসদন–নন্দন চত্বরে বাংলা আকাদেমি প্রাঙ্গণ, একতারামুক্তমঞ্চে। উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র এবং কবি দেবদাস আচার্য। উপস্থিত ছিলেন বাংলা আকাদেমির সভাপতি, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

উপস্থিত ছিলেন নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ী, বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী শাস্ত্রজ্ঞানন্দ, বাবাসাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়, সংস্কৃতি অধিকর্তা কৌশিক বসাক, বাংলা আকাদেমির সচিব বাসুদেব ঘোষ, আকাদেমির সদস্য অর্পিতা ঘোষ, ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সুধাংশু শেখর দে, প্রচেত গুপ্ত, সুবোধ সরকার, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, অভীক মজুমদার, প্রসূন ভৌমিক প্রমুখ।

রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর ও বাংলা একাডেমির আয়োজনে এই উৎসব ও মেলা আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে । উদ্বোধনী মঞ্চে প্রকাশিত হল বিবেকানন্দ ও সমকালীন ভারতবর্ষ (দ্বিতীয় খণ্ড), বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাবলি প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড, চতুর্ভাষিক অভিধান এবং চন্দ্রাবতী বিরচিত রামায়ণ। বইগুলি সভাপতি ব্রাত্য বসু তুলে দেন স্বামী শাস্ত্রজ্ঞানন্দ, মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ীর হাতে। গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায় মাইকেল মধুসূদন দত্তের দ্বিশত জন্মবর্ষের প্রাক্কালে তাঁর স্মরণে ‘তিষ্ঠ ক্ষণকাল’ শিরোনামে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

পাশাপাশি প্রকাশ করেন মাইকেল স্মরণে একটি বিশেষ স্মারক গ্রন্থ, ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত: ফিরে দেখা’। উদ্বোধনী মঞ্চে দেওয়া হল বাংলা একাডেমির ১৩টি স্মারক সম্মান। এদিনব্রাত্য বসু ঘোষণা করেন আগামী মাসে উত্তরবঙ্গে এইরকমই সাহিত্য উৎসব ও লিটল ম্যাগাজিন মেলা অনুষ্ঠিত হবে। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবারের মেলার ট্যাগলাইন করা হয়েছে তাঁরই কবিতার লাইন, ‘একটু পা চালিয়ে ভাই’। এদিন উদ্বোধন শেষে একতারা মঞ্চে ‘বই থেকে ছবি’ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন প্রচেত গুপ্ত, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন তরফদার এবং পূষণ গুপ্ত। এবারের মেলায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩৫০টি পত্রিকা অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও এবারের মেলায় ৫৫০ জন কবি–সাহিত্যিক রয়েছেন ।