
পুরুলিয়ায় দলীয় নেতার বাড়িতে জমিয়ে পেটপুজো মিঠুনের
24Hrs Tv, ওয়েব ডেস্কঃ বুধবার মিঠুন চক্রবর্তী দলীয় কর্মিসভায় জনসংযোগের পর জেলা বিজেপি নেতার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন। মেনুতে ছিল ভাত, বাসন্তী পোলাও, বেগুন ভাজা, আলু ভাজা, ডাল, পোস্তর বড়া, আলু পোস্ত, চচ্চড়ি, মাছের কালিয়া, চারাপোনার ঝাল, পনির, চাটনি ও পায়েস।। তিনি দলীয় নেতার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ চেটেপুটে উপভোগ করেন। বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনও‘মহাগুরু’কে খাবার খাইয়ে বেজায় খুশি।
প্রত্যন্ত এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নানা কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির তরফ থেকে মিঠুন চক্রবর্তীর। এদিন পুরুলিয়ার হুড়ার লধুরকার ঝান্ডা ময়দানে কর্মিসভায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “আজ আমি ডায়লগ দিতে আসিনি। আপনাদের কথা শুনতে এসেছি। আপনাদের যা জিজ্ঞাসা করার করুন। যার যা দুঃখ, কষ্ট আছে বলুন।” তারপর একে একে কর্মিসভায় উপস্থিত সকলেই মিঠুনকে মনের কথা বলতে শুরু করেন। মিঠুন এও বলেন, “ঘরে ঘরে পোস্টারে বাংলার আবাস যোজনা করে দিয়েছে। কে টাকা পাঠাবে? কাকে পাঠাবে? আমি বলছি, কেন্দ্র বলছে আগে হিসেব দিন। উনি বলছেন আমাদের পয়সা দিচ্ছে না, আমি কী করে দেব?”
এর জবাবে তিনি বলেন, “আপনি ধরুন রামকে টাকা দিয়ে বাজারে পাঠালেন। রাম ফিরে এলে তার থেকে হিসেব চাইবেন না? যা পয়সা দিলেন তার তো হিসেব থাকে। যদি বলেন, ওটা তো শ্যাম দেখে শ্যামকে দিয়ে দিন। আপনি কি শ্যামকে দেবেন? দেবেন না। রামের টাকা রামকেই দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার টাকা সেই আবাস যোজনার ব্যাংকেই আসবে। আপনি পোস্টার মারলে কী করে হবে? এখন সবাই স্বীকার করছে সড়ক যোজনা, আবাস যোজনা যা কাজ হচ্ছে কেন্দ্র করছে। সব পাবে। ওখানকার লোক এসেছে। সব হিসেব আছে। সব টাকা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা সবাই পাবেন। কিছুদিনের জন্য টাকা আটকে রাখা হয়েছে। কারণ, রাজ্য সরকারকে হিসেব দিতে হবে। এটা জনগণের টাকা। সবাইকে হিসেবে দিতে হবে।”
বিজেপি জেলা সহ সভাপতির বোন মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সব রান্না বাড়িতেই মহিলাদের তত্ত্বাবধানে হয়েছে। একে তো ‘মহাগুরু’, তার উপর আবার দলীয় নেতা বলে কথা, তাঁকে খাবার খাইয়ে খুশি বিজেপি জেলা সহ সভাপতি।