গান্ধীনগরের স্কুলে বাধ্য ছাত্রের ভূমিকায় মোদি! কটাক্ষ বিরোধীদের

Read Time:3 Minute

24 HrsTv, ওয়েব ডেস্ক : এবার স্কুলের ছাত্র রূপে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে । গুজরাট সফরে বুধবার গান্ধীনগরে মিশন স্কুল অফ এক্সিলেন্সের সূচনা করেন মোদি। একটি সরকারি স্কুলে যান৷ তখন ক্লাসে পড়ুয়াদের সঙ্গে একবেঞ্চে বসে সময় কাটান৷ সেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যা দেখার পর আপের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদি গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন জেতার জন্য আম আদমি পার্টির নেতাকে নকল করেছে। উল্লেখ্য, মাঝে সরকারি স্কুলে গিয়ে ক্লাসে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকে।

এদিন গান্ধীনগরের একটি সরকারি স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক ছাত্রের পাশে বসে সে কী পড়াশুনো করছে তা জানতে চান। এদিনই গুজরাটের সরকারি শিক্ষাব্যবস্থায় দশ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত জানান। এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সাহায্য গুজরাটে ৫০ হাজার ক্লাসরুম, দেড় লক্ষ স্মার্ট ক্লাসরুম, ২০ হাজার কম্পিউটার রুম ও ৫ হাজার গবেষণাগার তৈরি হবে। সব রাজ্যকে এই ধরনের আধুনিক শিক্ষা পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান মোদি।

প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানকে কটাক্ষ করেছে আপ। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, দিল্লির সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য নিয়ে আপ প্রচার চালিয়েছে গুজরাটে। ফলে মোদি বাধ্য হয়েছেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দিতে। সেই কারণেই ওই রাজ্যের শিক্ষা খাতে ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ। এদিকে গুজরাটে মিশন স্কুল অফ এক্সিলেন্সে বরাদ্দ নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করেন, “পাঁচ বছরে দিল্লির সমস্ত স্কুলকে আধুনিক মানে উত্তীর্ণ করতে সক্ষম হয়েছি। এই ভাবেই পাঁচ বছরে গোটা দেশের স্কুলের চেহারা পালটে দেওয়া সম্ভব। অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। আপনি আমাকে এই কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। আসুন একসঙ্গে কাজ করি দেশের জন্য।”

যদিও গেরুয়া শাসনে গুজরাটে শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক বদল এসেছে বলে দাবি করেছেন মোদি। তিনি বলেন, গত দুই দশকে রাজ্যের শিক্ষার ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে তা আগে দেখা যায়নি। ২০ বছর আগে ১০০ জনের মধ্যে ২০ জন শিশু স্কুলে যেত না। পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ অষ্টম শ্রেণিতে পৌঁছনোর আগে পড়া ছেড়ে দিত৷ মেয়েদের অবস্থা ছিল আরও খারাপ৷ এখন যার পরিবর্তন হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *