
দেশের করোনাকালে উধাও মোদী ম্যাজিক
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে নাজেহাল সরকার – বিধ্বস্ত প্রশাসন। অভাব দেখা দিচ্ছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীর। লাখে লাখে মারা যাচ্ছে মানুষ, নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনা মৃতদেহ। এরই মধ্যে চিকিৎসা খাতে জোড় না দিয়ে জোর কদমে চলছে ২০ হাজার কোটির সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট। স্বাভাবিক ভাবেই এর দায় এসে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর। গত বছর লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা, কৃষক আন্দোলন প্রভৃতি গেরুয়া বিরোধী অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এরই মধ্যে এক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করল এক ভারতীয় ও এক মার্কিন সংস্থা। রিপোর্টে দেখানো হয় যে, করোনাকালে জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর, যা শুনে এই বিপর্যয়ের মধ্যে আরও অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
২০১৪ সালে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ভারতের প্রধান মন্ত্রী হয়ে মসনদে বসেন নরেন্দ্র মোদী। পরবর্তী নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয় যুক্ত হন তিনি। দ্বিতীয়বারের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী। জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছানোয় তৈরি হয় ‘ব্র্যান্ড নমো’ -র। তবে দ্বিতীয়বার জয়ী হওয়ার পর থেকেই নানা দিক থেকে নানা সমস্যা আসতে থাকে দেশের উপর। বর্তমান সময়ে ভারতের উপর কালো ছায়া পড়েছে মারণ ভাইরাস কোভিডের, যা কাটিয়ে ওঠা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে দেশের পক্ষে।
দেশের এহেন পরিস্থিতিতে একটি ভারতীয় সংস্থা ‘সিভোটার’ এক সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষায় জানা যায়, গতবছর প্রধানমন্ত্রী মোদীর কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট ছিলেন দেশের প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জনপ্রিয়তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৭ শতাংশে। এক মার্কিন সংস্থা ‘মর্নিং কনসাল্ট’ -এর সমীক্ষাতেও উঠে এসেছে একই তথ্য। তাঁদের মতে, গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা একধাক্কায় ২২ পয়েন্ট কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ শতাংশে। ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে রাখা হিসাবের মধ্যে এই প্রথমবার এত পরিমাণ জনপ্রিয়তা কমলো নরেন্দ্র মোদির।